গুলশানে ১ লাখ টাকা ভাড়ায় ফ্ল্যাটে থাকতেন কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়া। তার ফ্ল্যাটে নিয়মিত যাতায়াত ছিল শীর্ষ স্থানীয় একটি ব্যবসায়ী গ্রুপের এমডির।
আরও পড়ুন : দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
দৈনিক শিক্ষা পরিবারের নতুন সদস্য ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
সোমবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর মোসারাত জাহান মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধার হয় তার ফ্ল্যাট থেকে। ঘরে ফ্যানের সাথে তার মরদেহ ঝুলতে দেখা যায়। তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে শীর্ষ স্থানীয় ওই ব্যবসায়ী গ্রুপের এমডির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন মুনিয়ার বড় বোন।
কী ঝামেলায় পড়েছিল কলেজ ছাত্রী মোসারাত, নানা রহস্য
ছাত্রীর লাশ, বসুন্ধরার এমডির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মামলা সূত্রে জানা যায়, মেয়েটির সঙ্গে শীর্ষ ওই ব্যবসায়ীর সম্পর্ক দুই বছরের। ওই ব্যবসায়ী এক বছর মেয়েটিকে বনানীর একটি ফ্ল্যাটে রাখেন। গত মার্চে গুলশানের এই ফ্ল্যাটে ওঠেন মেয়েটি। গত ২৩শে এপ্রিল ইফতার পার্টি হয় ওই বাসায়। ওই পার্টির ছবি ফেসবুকে আপলোড করা নিয়ে মুনিয়ার সঙ্গে ওই ব্যবসায়ীর মনোমালিন্য হয়। পরে মেয়েটি তার বোনকে ফোন করে জানান, তিনি ঝামেলায় পড়েছেন।
যা আছে সেই কলেজ ছাত্রীর ডায়েরিতে
কী ঝামেলায় পড়েছিল কলেজ ছাত্রী মোসারাত, নানা রহস্য
২১ বছর বয়সী মুনিয়ার বাড়ি কুমিল্লা শহরে। তার পরিবার সেখানেই থাকে। গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার নাজমুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে মুনিয়ার সম্পর্ক ছিল। তিনি ফ্ল্যাটে যাতায়াত করতেন বলেও আমরা জানতে পেরেছি। পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও মোসারাতের ব্যবহৃত ডিজিটাল ডিভাইসগুলো জব্দ করেছে।
‘কলেজ ছাত্রী মুনিয়াকে হত্যা করা হয়েছে’
লাখ টাকার ভাড়া ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন সেই ছাত্রী
কুমিল্লায় বাবা-মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় মুনিয়া
‘আসামি সায়েমকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাই’
এরইমধ্যে ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে মুনিয়ার একটি ফোনালাপ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি অন্তঃস্বত্তা ছিলেন কিনা সে প্রশ্নও ওঠেছে। তার ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর অনেক প্রশ্নের জবাব মিলতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নিহতের বড় ভাই আশিকুর রহমান সবুজ জানান, দীর্ঘদিন নিয়মিত যোগাযোগ না থাকলেও মুনিয়া আত্মহত্যা করতে পারে এটা মনে হয় না। ঘটনাটি রহস্যজনক বলেই মনে হয়।
মুনিয়ার জানাজা শেষে স্থানীয় প্রতিবেশীরা জানান, মুনিয়ার বাবা প্রয়াত মো. শফিকুর রহমান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন এবং কুমিল্লার আওয়ামী লীগ নেতা। দীর্ঘদিন ভাই আশিকুর রহমান সবুজের সাথে মুনিয়া ও তানিয়ার পারিবারিক বিরোধ চলছিল, যে কারণে কুমিল্লায় নিজ বাসায় তাদের যাতায়াত কম ছিল।
এর আগে সোমবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গুলশানের একটি ভাড়া বাসা থেকে মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। গতমাসে ওই বাসা ভাড়া নেন তিনি। তার ওই বাসায় এক শিল্পপতি প্রায়ই যাতায়াত করতেন। পরে মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গভীর রাতে শিল্পপতিকে আসামি করে মামলা করেন মুনিয়ার বড় বোন।