ফেসবুকে শিক্ষকের উসকানিমূলক পোস্ট, শোকজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি |

সচিবালয়কে 'হিন্দুয়ালয়' আখ্যা দেওয়া একটি সংবাদের কাটিং ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক পোস্ট দেয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এক সহকারী প্রধান। এটা নিয়ে উপজেলায় চলছিরো আলোচনা সমালোচনার ঝড়। অবশেষে 'শোকজ' করা হয়েছে কাজী মো. ওয়াজেদ উল্লাহ জসীমকে।

ওই বিতর্কিত শিক্ষককে আগামি সাতদিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোকাররম হোসেন আজ দুপুরে কালের কণ্ঠের কাছে এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, নবীনগর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক কাজী মো. ওয়াজেদ উল্লাহ জসীম তার নিজের ফেসবুকে গত ২৭ মে একটি অনলাইন পত্রিকায় সচিবালয়কে 'হিন্দুয়ালয়' অ্যাখ্যা দিয়ে লেখা 'সচিবালয়ে মুসলমান নেই বললেই চলে, ৪০৩ জন হিন্দু সচিব' এমন লেখা সম্বলিত সংবাদের কাটিং পোস্ট করে লিখেন, এই নিউজটা কি সঠিক?

এর পরপরই সেই সাম্প্রদায়িক পোস্টের নীচে হিন্দু সম্প্রদায় ও সরকারকে নিয়ে নানা কুৎসিত ও নোংরা কমেন্টস পড়তে থাকে। এ নিয়ে ফেসবুকে তোলপাড় সৃষ্টি হলে, বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে।

পরে ওইদিন সন্ধ্যায় ওই সহকারী প্রধান শিক্ষককে নবীনগর থানার ওসি (তদন্ত) রুহুল আমীন থানায় তলব করেন। পরে ইউএনও মোহাম্মদ মাসুমের কঠোর নির্দেশে ওই বিতর্কিত পোস্টটি ডিলেট করে তিনি ফেসবুকে দু:খ প্রকাশ করে আরেকটি পোস্ট দিতে বাধ্য হন।
 
এ অবস্থায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে সরকারি ওই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু মোছা শনিবার তাকে (ওয়াজেদ উল্লাহ) একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন।

অভিযুক্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক কাজী ওয়াজেদ উল্লাহ জসীম বলেন, থানায় তলব করে কেউ আমাকে কোন নির্দেশ দেয়নি। পোস্টটি আপলোডের কিছুক্ষণ পর আমি নিজেই সেটি ডিলেট করে দুঃখ প্রকাশ করে আরেকটি পোস্ট দেই। আর আমাকে কোন শোকজ করা হয়নি। হেড স্যার বিষয়টি জানতে চেয়েছেন মাত্র।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোকাররম হোসেন বলেন, কোন সুস্থ মানুষ এমন পোস্ট দিতে পারেন না। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা স্যারের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে তাই পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে নবীনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মাসুম বলেন, আগের দুটি ঘটনাসহ এই ঘটনাটির জন্যও ফেসবুক থেকে সব ডিলেট করে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেছি। তবে এরপর এসব স্পর্শকাতর বিষয়ে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0030500888824463