কলেজছাত্রীর টেলিফোন কল পেয়ে বাড়িতে গিয়ে নিজ হাতে বই, খাতা কলম ও নগদ টাকা তুলে দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসায় ভাসছেন ইউএনও নবীনেওয়াজ। সাদুল্লাপুর গার্লস কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিনমজুর ফিরোজ আকন্দের কন্যা ফেন্সি আকতার রোববার ইউএনওকে ফোন করে বলেন, স্যার আমার বই কেনার টাকা নেই। এ কথা শুনে সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে আকস্মিক বই, খাতা-কলম কিনে নিয়ে ইউএনও ওই ছাত্রীর বাড়িতে হাজির হন। ফেন্সী আকতার বুজরুক পাটানোছা গ্রামের দিনমজুর ফিরোজ আকন্দের মেয়ে।
আকস্মিক ইউএনওর আগমনে প্রথমে হতচকিত হলেও বুজরুক পাটানোছা গ্রামের মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়েছে ইউএনওর প্রশংসা।
ফেন্সি সাদুল্লাপুর গার্লস কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। গরীব বাবার কষ্টের সংসারে লেখাপড়ার জন্য বাড়তি খরচ করার সাধ্য নেই। কিছু বই কিনলেও লাইব্রেরিতে টাকা বকেয়া। টাকা বকেয়া থাকায় অর্থনীতি ও মনোবিজ্ঞান বই কেনা হয়নি তার। বই পেয়ে আনন্দিত হয়ে ফেন্সি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, তার কল্পনাও ছিল না অজোপাড়াগাঁয়ের কোন মেয়ের কথায় ইউএনও স্যার সাড়া দেবেন। আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তার দরিদ্র বাবা-মা।
ইউএনও মো. নবীনেওয়াজ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, রোববার দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ত সময় পার করছি এরমধ্যেই হঠাৎ অপরিচিত নম্বর থেকে মুঠোফোনে কল আসে। অপরপ্রান্ত থেকে কলেজছাত্রী পরিচয়ে কাচুমাচু কণ্ঠে ভেসে আসে স্যার বই কেনার টাকা নেই। পরে খোঁজখবর নিয়ে সোমবার দুপুরে বই, খাতা-কলম কিনে নিয়ে সাদুল্লাপুর গার্লস কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিনমজুর ফিরোজ আকন্দের কন্যা ফেন্সি আক্তারের বাড়িতে হাজির হন তিনি।
ইউএনও আরও বলেন, টাকার অভাবে বই কিনতে না পেরে কারো পড়াশোনায় ব্যাঘাত হবে। এমন খবর তাকে ব্যথিত করে। লেখাপড়ায় আগ্রহী মেয়েটির পড়াশোনা সচল রাখতে তাকে বই কিনে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বইয়ের সাথে খাতা, কলম এবং নগদ টাকাও ফেন্সির হাতে তুলে দেন ইউএনও।