বই উৎসবের চাঁদা : চার শিক্ষাবোর্ডে অসন্তোষ!

নিজস্ব প্রতিবেদক |

১ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত বই উৎসবের চাঁদা পরিশোধ করা নিয়ে স্বায়ত্বশাসিত ঢাকা শিক্ষাবোর্ডসহ চারটি বোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষের খবর পাওয়া গেছে।

পাঠ্যপুস্তক বোর্ডসহ চারটি বোর্ডকে মোট ৫ লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে এনসিটিবি ২ লাখ ৫০ হাজার, ঢাকাবোর্ড ও মাদ্রাসা বোর্ড ১ লাখ করে এবং কারিগরি শিক্ষাবোর্ড ৫০ হাজার।

পাঠ্যপুস্তক বোর্ড চেক মারফত দেড় লাখ টাকা পরিশোধ করেছে বলে জানা গেছে। বাকী ৫০ হাজার এখনো অনিশ্চিত।

Ntcb

পাঠ্যপুস্ত বোর্ড, ঢাকা, মাদ্রাসা ও কারিগরী শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, মন্ত্রণালয়ের বই উৎসবে কেন স্বায়ত্ত্বশাসিত বোর্ডগুলো টাকা দেবে? ইতিপূর্বে বোর্ডের টাকা মন্ত্রণালয় অন্য খাতে খরচ করায় অডিট আপত্তি ফেস করতে হয়েছে বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সচিবদের। অডিট অফিস জানতে চায় কেন বোর্ডের টাকায় মন্ত্রণালয়ের অনুষ্ঠান, কেনাকাটা হবে?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোর্ড সমিতির নেতারা বলেছে, যে স্কুলে উৎসব হয় সেই স্কুল কর্তৃপক্ষই সব আয়োজন করেন। আবার বোর্ড থেকে টাকা নেওয়ার কোনও মানে হয় না। বোর্ডের কাজ পরীক্ষা ও ফল প্রকাশ, প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি ও নবায়ণ। বই নিয়ে কোনও ফান্ড নেই শিক্ষা বোর্ডগুলোর।

 ২২ ডিসেম্বরে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বই উৎসবের খরচ ধরা হয়েছে ৫ লাখ টাকা। ঢাকার গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলে অনুষ্ঠিত ওই সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমদ ও যুগ্ম-সচিব রুহী রহমান উপস্থিত ছিলেন। বোর্ডগুলোকে টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে মন্ত্রণালয় থেকে এমন সিদ্ধান্তও হয় ওই সভায়। সেই অনুযায়ী মন্ত্রণালয় বোর্ডগুলোকে টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেন বলে জানা গেছে।

খরচের খাতে দেখানো হয়েছে, মঞ্চ তৈরিতে ১ লাখ ৪০ হাজার, ব্যানার ও সাজসজ্জা ১ লাখ, মাইক ও সাউন্ড সিস্টেম ৩০ হাজার, উত্তরীয় কেনা ৫০ হাজার, আপ্যায়ন ১ লাখ ৩০ হাজার ও বিবিধ ৫০ হাজার টাকা।
৭টি স্কুল থেকে মোট ৪ হাজার শিক্ষার্থীকে হাজির করা হবে উৎসবে।

২০১১ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১ জানুয়ারি বই উৎসব পালন করছে সরকার।

২০০৮ খ্রিস্টাব্দের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষামন্ত্রী নিযুক্ত হন ২০০৯ খ্রিস্টাব্দের ৬ জানুয়ারি।

২০০৮, ২০০৯ ও ২০১০ খ্রিস্টাব্দে বই নিয়ে মহা কেলেংকারি হয়।
অবশেষে বুদ্ধিজীবীদের পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হয় বিদেশ থেকে বই ছাপিয়ে আনা হবে। বছরের শুরুতেই বই দিতে হবে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। মাধ্যমিকেও বিনামূল্যে বই দেওয়া এবং প্রাথমিকে সব নতুন বই দেওয়া আওয়ামীল লীগ সরকারের অন্যতম প্রধান সাফল্য।

নতুন বছরের বই সরবরাহ করতে কমপক্ষে ৬ মাস আগে টেন্ডারসহ নানা সিদ্ধান্ত নিতে হয়। বই প্রকাশকদের একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। যাদের কাছে অনেকেই জিম্মি থাকেন।



পাঠকের মন্তব্য দেখুন
রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিকে মর্নিং স্কুল, খোলার প্রজ্ঞাপন জারি - dainik shiksha রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিকে মর্নিং স্কুল, খোলার প্রজ্ঞাপন জারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে - dainik shiksha প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের গরমে কলেজে কোচিং, দুদিনে অসুস্থ ৮ ছাত্রী - dainik shiksha গরমে কলেজে কোচিং, দুদিনে অসুস্থ ৮ ছাত্রী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে নিবন্ধিত শিক্ষক নিয়োগে এনটিআরসির নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha নিবন্ধিত শিক্ষক নিয়োগে এনটিআরসির নতুন নির্দেশনা দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে জাল সনদে চাকরি করছে কয়েক হাজার হেলথ টেকনোলজিস্ট - dainik shiksha জাল সনদে চাকরি করছে কয়েক হাজার হেলথ টেকনোলজিস্ট ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের আইনি লড়াইয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক নেতা কাওছার শেখ - dainik shiksha আইনি লড়াইয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক নেতা কাওছার শেখ please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0027840137481689