বই বিতরণের দিন ভর্তি কার্যক্রম নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক |

পাঠ্যপুস্তক বিতরণের দিন অর্থাৎ ১ জানুয়ারি কোন ভর্তি কার্যক্রম চালাতে পারবে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎসাহিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী বছর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে হবে। খুব শিগগিরই অধিদপ্তরগুলো থেকে স্কুল ও মাদরাসাগুলোকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

প্রতিবছরই পাঠ্যপুস্তক বিতরণের দিন অনেক প্রতিষ্ঠানে ভর্তি কার্যক্রম চলে। বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হলেও ভর্তির জন্য টাকা নেয়া হয়। ফলে অনেকেই ভাবে শিক্ষার্থীদের টাকার বিনিময়ে বই দেয়া হচ্ছে। ফলে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় বলে মন্তব্য করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

মন্ত্রণালয় সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, এ জটিলতা এড়াতে আলোচনা শুরু করেছে মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, ১ জানুয়ারি কোন অবস্থাতেই ভর্তি কার্যক্রম চালাতে পারবে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোন কারণে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে পারবে না, সেসব প্রতিষ্ঠান ১ জানুয়ারির পরে ভর্তি কার্যক্রম চালাবে। আগামী বছর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হবে। 

সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও জানায়, সভার রেজুলেশন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। অধিদপ্তরগুলে শিগগিরই এ বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দেবে।  

গত ১১ বছর ধরে ‘পাঠ্যপুস্তক উৎসব’ করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যের পাঠ্যবই তুলে দেয়া হলেও করোনা মহামারিতে নতুন বছরে সেটি হচ্ছে না। বিকল্প উপায়ে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বছরে নতুন পাঠ্যবই পৌঁছে দেয়া হবে। সম্প্রতি এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ তথ্য জানিয়েছেন। 

তিনি বলেন, বই তৈরি থাকবে। কিন্তু আমরা যেভাবে বই উৎসব করি, সব শিক্ষার্থী হাজির হয়, এবার স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে নিশ্চয় আমরা সেই রকম সমাবেশ করে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে পারব না। কাজেই বিকল্প চিন্তা করে কীভাবে প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে দেয়া যায় সেই বিষয়টি নিয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করব। উৎসব গুরুত্বপূর্ণ, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু সেই উৎসব করতে গিয়ে বড় একটা স্বাস্থ্যঝুঁকি নেয়া বোধ হয় ঠিক হবে না। কাজেই বিকল্প কীভাবে করতে পারি সেটি জানিয়ে দেয়া হবে।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল  SUBSCRIBE  করতে ক্লিক করুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা - dainik shiksha দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার চাকরির বয়স নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর চিঠির পর সমাবেশের ডাক দিলো ৩৫ প্রত্যাশীরা - dainik shiksha চাকরির বয়স নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর চিঠির পর সমাবেশের ডাক দিলো ৩৫ প্রত্যাশীরা স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি কি এপ্রিলে এগিয়ে আনা দরকার? - dainik shiksha স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি কি এপ্রিলে এগিয়ে আনা দরকার? কলেজের শিক্ষকদের ডিজিটাল বদলির আবেদন শুরু রোববার - dainik shiksha কলেজের শিক্ষকদের ডিজিটাল বদলির আবেদন শুরু রোববার বুটেক্সের প্রথম সমাবর্তন ৭ সেপ্টেম্বর - dainik shiksha বুটেক্সের প্রথম সমাবর্তন ৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি: শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি: শিক্ষা মন্ত্রণালয় দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটিতে বিশেষ কমিটি গঠনে নীতিমালা হবে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটিতে বিশেষ কমিটি গঠনে নীতিমালা হবে: শিক্ষামন্ত্রী দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0026609897613525