৩৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে ব্যাংক কর্মকর্তা স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা মো. মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে। স্ত্রীর অভিযোগ, যৌতুক দাবি করে শিক্ষা ক্যাডারের এ সহকারী অধ্যাপক তাকে গত ৩ এপ্রিল বেদম মারধর করেছেন। এ ঘটনায় রাজধানীর শ্যামপুর থানায় গত ৬ এপ্রিল মামলা করেছেন তিনি। মামলা দায়েরের পর থেকে শিক্ষা ক্যাডার মুহিবুর পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছে শ্যামপুর থানা পুলিশ।
জানা গেছে, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা মো. মুহিবুর রহমান দর্শন বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক। তিনি ফরিদপুরের চরভদ্রাসন সরকারি কলেজে (ইনসিটু ওএসডি অবস্থায়) কর্মরত আছেন। তিনি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার দেউলা ইউনিয়নের মোফাজ্জল হকের ছেলে।
২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ ব্যংকের ওই নারী কর্মকর্তাকে বিয়ে করেন মুহিবুর। বছর না পেরুতেই ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবরে তাদের এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।
ওই শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তার স্ত্রীর অভিযোগ, গত ৩ এপ্রিল মুহিবুর রাত কাছে ৩৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করায় একমাত্র ছেলের সামনেই স্ত্রীর গায়ে হাত তোলেন। নির্মম শারীরিক নির্যাতানের শিকার হয়ে তিনি রাজধানীর মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। ৬ এপ্রিল তিনি শ্যামপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। যার তদন্ত চলছে।
ওই নারী মনে করছেন, মো. মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা চললেও তিনি তার বর্তমান পদকে ব্যবহার করে মামলার তদন্ত কাজ প্রভাবিত করতে পারেন। তাই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে শিক্ষা ক্যাডার মুহিবুরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন জানিয়েছেন স্ত্রী।
জানা গেছে, গত ৬ এপ্রিল দায়ের হওয়া মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন শ্যামপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর তন্ময় মন্ডল।
গতকাল সোমবার বিকেলে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাব ইন্সপেক্টর তন্ময় মন্ডল দৈনিক আমাদের বার্তাকে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিষয়টি তদন্ত চলছে। মামলা দায়ের হওয়ার পর ওই শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা পলাতক আছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।