পার্বতীপুরে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বখাটের হাতে শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে এক কলেজছাত্রী। এর বিচার চাইতে গিয়ে বখাটে ও তার পরিবারের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন ওই কলেজছাত্রীসহ তার মা-বাবা। গুরুতর আহত ছাত্রীটির দিনাজপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা আজিবর রহমান বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার দিনাজপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পার্বতীপুর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের বড় রামচন্দ পুর সরকারি আবাসন প্রকল্পে বসবাসকারী আজিবর রহমানের মেয়ে মোস্তাকিমা খাতুনকে বাড়ি থেকে আমবাড়ী ডিগ্রি কলেজে যাওয়া-আসার পথে দীর্ঘদিন যাবৎ তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল একই এলাকার প্রভাবশালী মেরাজুল ইসলামের ছেলে মোরছালিন প্রামাণিক (২২)। গত ৩০ এপ্রিল এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে দুপুর ২টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে রামচন্দ পুর বাজারে মোস্তাকিমার পথ রোধ করে মোরছালিন এবং টানাহেঁচড়া করে তার শ্লীলতাহানি ঘটায়। এ ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচার চাওয়াও ৩ মে মোরছালিন ও তার পরিবারের লোকজন ওই পরীক্ষার্থী ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত মোস্তাকিমাকে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলায় তার বাবা, মা ও এক ভাই আহত হয়।
মোস্তাকিমার পরিবারের ওপর হামলা চালানোর পর উল্টো তাদের বিরুদ্ধেই গত মঙ্গলবার মামলা দায়ের করেন বখাটের বাবা মেরাজুল ইসলাম। পুলিশ এই মামলার তদন্তেই তৎপরতা দেখাচ্ছে।
ছাত্রীর বাবা আজিবর রহমান বলেন, ‘আমি একজন গরিব মানুষ, দিনমজুর। আমার মেয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় ও চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় মামলা করতে দেরি হয়েছে। এই সুযোগে বখাটের বাবা মেরাজুল ইসলাম আমাদের বিরুদ্ধে উল্টো মামলা করেছে।’
জানতে চাইলে পার্বতীপুর মডেল থানার এসআই আব্দুর রহিম গতকাল শুক্রবার বলেন, শ্লীলতাহানির শিকার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে মেরাজুল হক নামের এক ব্যক্তি মারামারি ঘটনায় থানায় মামলা করেছে। সেই মামলার তদন্ত চলছে।