বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পদকপ্রাপ্তির ৫১ বছর

দুলাল আচার্য, দৈনিক শিক্ষাডটকম |

দুলাল আচার্য, দৈনিক শিক্ষাডটকম: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বাস করতেন মানবজাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্য শান্তি একান্ত দরকার। তার রাজনৈতিক জীবনের পুরোটা জুড়েই শান্তির জয়গান জাগ্রত ছিলো। তিনি ছিলেন শান্তি, মুক্তি ও মানবতার অগ্রদূত। তাই জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা সদাজাগ্রত।

বঙ্গবন্ধুর জীবনকর্মের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ মে বিশ্ব শান্তি পরিষদ কর্তৃক তাকে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদকে ভূষিত করা হয়। বিশ্বশান্তি পরিষদের এই পদক ছিলো জাতির পিতার মানবিক-রাজনীতির স্বীকৃতিস্বরূপ। সহজ করে বললে, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় তার অবদানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। এটি ছিলো বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মান। এ সাফল্য অর্জনের ফলে জাতির পিতা পরিণত হয়েছেন বঙ্গবন্ধু থেকে বিশ্ববন্ধুতে। স্বাধীনতার মহান স্থপতি, গণতন্ত্র ও শান্তি আন্দোলনের পুরোধা বাংলাদেশের জাতির পিতার ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫১ বছর আজ।

আগের প্রেক্ষাপটটি ছিলো এ রকম ১০ অক্টোবর ১৯৭২। চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোতে অনুষ্ঠিত বিশ্বশান্তি পরিষদের প্রেসিডেনসিয়াল কমিটির সভায় শোষিত ও নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম তথা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ প্রদানের ঘোষণা দেয়া হয়। বিশ্বের ১৪০টি দেশের ২০০ প্রতিনিধির উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রদানের সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। এরপর ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের মে মাসে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। বিশ্বশান্তি পরিষদের উদ্যোগে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় দুই দিনব্যাপী ÔAsian Peace & Security Conference’। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন ২৩ মে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের উন্মুক্ত চত্বরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিশ্বশান্তি পরিষদের তৎকালীন মহাসচিব রমেশ চন্দ্র বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ পরিয়ে দেন। সেদিন রমেশ চন্দ্র বঙ্গবন্ধুর উদ্দেশে বলেন, ‘শেখ মুজিব শুধু বঙ্গবন্ধু নন, আজ থেকে তিনি বিশ্ববন্ধুও বটে’।
আমাদের জাতির পিতা ‘বঙ্গবন্ধু’ হয়েছিলেন সেই ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের মুক্তিযুদ্ধ তাকে দিয়েছে বাঙালির ‘অবিসংবাদিত নেতা’-র স্বীকৃতি। আর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আন্তর্জাতিক এই স্বীকৃতি। স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো রাষ্ট্রনেতার সেটিই ছিলো প্রথম আন্তর্জাতিক পদকলাভ। বঙ্গবন্ধুর এই পদক অর্জন বিশ্বদরবারে বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় আসীন করে। বঙ্গবন্ধুকে যখন জুলিও কুরি শান্তি পদক দেয়া হয়, তখনও বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য হয়নি। হাতেগোনা কয়েকটি দেশ সেই সময় বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত একটি দরিদ্র দেশের সরকারপ্রধানকে বৈশ্বিক শান্তি পদক দেয়া বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর নিরলস প্রচেষ্টা, তার কর্ম ও দর্শনের স্বীকৃতি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং এর পরবর্তী পরিস্থিতি নিজেই প্রত্যক্ষ করেছেন। সে সময় তিনি দুস্থ ও অনাহারীদের কাছে একজন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে গেছেন। মানবসেবায় তার নানাবিধ অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই তিনি বলেছেন, ‘আমরা চাই, অস্ত্র প্রতিযোগিতায় ব্যয়িত অর্থ দুনিয়ার দুঃখী মানুষের কল্যাণের জন্য ব্যয় করা হোক। তাহলে পৃথিবী থেকে দারিদ্র্যের অভিশাপ মুছে ফেলার কাজ অনেক সহজসাধ্য হবে।’ তাই তো দেশ স্বাধীনের পর তিনি প্রথমে জোর দিয়েছিলেন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ওপর। 

বঙ্গবন্ধু স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন, ‘পৃথিবী আজ দুইভাগে বিভক্ত। শোষক আর শোষিত। আমি শোষিতের পক্ষে। তিনি আরো বলেছিলেন, ‘প্রয়োজনে আলেন্দের পরিণতি বরণ করবো; কিন্তু সাম্রাজ্যবাদের কাছে মাথানত করবো না।’ বঙ্গবন্ধু তার কথা রেখেছেন। তিনি জীবন দিয়েছেন; কিন্তু আপসের পথে হাঁটেননি। 

বঙ্গবন্ধু সব সময় যুদ্ধের বিপক্ষে ছিলেন। তিনি যুদ্ধ পরিহার করে যেকোনো বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাসী ছিলেন। চাইতেন বঞ্চনা ও শোষণমুক্তির মাধ্যমে ন্যায়ভিত্তিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ গড়তে। 

বঙ্গবন্ধুর জীবন ছিলো সংগ্রামমুখী। তিনি ছাত্র অবস্থায়ই রাজনীতি সচেতন ছিলেন। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সান্নিধ্যে এসে জড়িয়ে পড়েন সক্রিয় রাজনীতিতে। শুরুতে পাকিস্তান আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। কিন্তু পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পশ্চিম পাকিস্তানের বাঙালিবিরোধী ভূমিকার কারণে অবস্থান পরিবর্তন করতে দেরি হয়নি তার। তরুণ শেখ মুজিবের অবস্থান ছিলো ন্যায়ের পক্ষে, জুলুমের বিরুদ্ধে। তার জীবন উৎসর্গিত ছিলো দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। এর জন্য নিজের জীবনের সুখ-শান্তি উপেক্ষা করেছেন। ৫৫ বছরের জীবনে রাজনৈতিক কারণে জেল খেটেছেন ৪ হাজার ৬৮২ দিন। বাংলার মানুষের দুঃখ মোচনের লড়াইয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন বলেই তিনি হয়ে ওঠেন মাটি ও মানুষের নেতা। 

১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠেন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা। তার দল আওয়ামী লীগ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। জনরায় অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুরই হওয়ার কথা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানের জান্তা সরকার বাঙালির হাতে শাসনক্ষমতা অর্পণ না করে চাপিয়ে দেয় এক বর্বর যুদ্ধ। পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালিদের ওপর চালায় ব্যাপক গণহত্যা। শান্তিপ্রিয় শেখ মুজিব বাধ্য হয়েই ডাক দেন জনপ্রতিরোধের, স্বাধীনতাযুদ্ধের। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দৃঢ়ভাবে দাঁড়ায় প্রতিবেশী ভারতসহ বহু শান্তিকামী দেশ। বাংলাদেশ পায় শক্তিধর সোভিয়েত ইউনিয়নসহ বিশ্বের সমর্থন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কারাগারে বন্দি থেকেও হয়ে ওঠেন মুক্তিযুদ্ধের প্রধান নেতা। বন্দি মুজিব বিশ্ববাসীর দৃষ্টি কাড়েন। তার নামেই চলে ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধ এবং তাকে সামনে রেখেই বাঙালি হয় যুদ্ধজয়ী। শেখ মুজিবের সাহস, মনোবল এবং মানুষের প্রতি তার ভালোবাসার কথা ছড়িয়ে পড়ে সারাবিশ্বে। 

ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বিশ্বশান্তি পরিষদের যাত্রা শুরু ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে। পদক প্রদান শুরু হয় ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে। ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দের আগ পর্যন্ত ফ্রেদেরিক জুলিও কুরি বিশ্বশান্তি পরিষদের নেতৃত্বে ছিলেন। তার জীবদ্দশায় শান্তি পদক ‘মেডেল অব পিস’ নামে প্রচলন ছিলো। ফ্রেদেরিক জুলিও কুরির মৃত্যুর পর ওই পদকের নাম রাখা হয় জুলিও কুরি শান্তি পদক। শান্তি পদকপ্রাপ্ত কয়েকজন হলেন চেকোশ্লোভাকিয়ার জুলিয়াস ফুচিক, স্পেনের পাবলো পিকাসো, চিলির পাবলো নেরুদা, আমেরিকার পল রবসন, তুরস্কের নাজিম হিকমত, আমেরিকার মার্টিন লুথার কিং, কিউবার ফিদেল ক্যাস্ত্রো, মিসরের গামাল আবদেল নাসের, চিলির সালভাদর আলেন্দে, বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ফিলিস্তানের ইয়াসির আরাফাত, সোভিয়েত ইউনিয়নের লিওনিড ব্রেজনেভ, তাঞ্জানিয়ার জুলিয়াস নায়েরে প্রমুখ। বঙ্গবন্ধু এই পদকপ্রাপ্তির আগে কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো, ভিয়েতনামের সংগ্রামী নেতা হো চি মিন, চিলির গণ-আন্দোলনের নেতা সালভেদর আলেন্দে, ফিলিস্তিনের ইয়াসির আরাফাতের মতো শান্তিকামী নেতারা এই পদকে সম্মানীত হন। মূলত, সাম্রাজ্যবাদ ও ফ্যাসিবাদ বিরোধিতা এবং মানবতার ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় যারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন, তারা এই পদকে ভূষিত হয়ে আসছিলেন। আগেই উল্লেখ করেছি, বিশ্বশান্তিতে বঙ্গবন্ধুর আগ্রহ ছাত্রাবস্থা থেকে। পরে রাজনীতির মাঠে। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে তিনি দীর্ঘদিন কারাভোগ করেন। ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবরে তিনি চীনে অনুষ্ঠিত ‘পিস কনফারেন্স অব দ্য এশিয়ান অ্যান্ড প্যাসিফিক রিজিওন্স’ যোগ দেন। ওই সম্মেলনে ৩৭টি দেশ থেকে আগত শান্তিকামী নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিলে স্টকহোমে বিশ্বশান্তি পরিষদের সম্মেলনেও অংশ নেন বঙ্গবন্ধু। এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘বিশ্বশান্তি আমার জীবনের মূলনীতি। নিপীড়িত, নির্যাতিত, শোষিত ও স্বাধীনতাকামী সংগ্রামী মানুষ, যেকোনো স্থানেই হোক না কেনো, তাদের সঙ্গে আমি রয়েছি। আমরা চাই বিশ্বের সর্বত্র শান্তি বজায় থাকুক, তাকে সুসংহত করা হোক।’ সেই বক্তব্য আর অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ রয়েছে তার গ্রন্থে। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বশান্তির এক অবিস্মরণীয় দূত। শান্তিকামী এই মানুষটির একক নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা লাভ করে। দীর্ঘ প্রায় ২৪ বছর পশ্চিম পাকিস্তানের বহুবিধ বঞ্চনার শিকার বাংলাদেশ মুক্ত হয়। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দেও জুলিও কুরি শান্তি পদকে ভূষিত হয়ে শুধু নিজের জন্যই সম্মান অর্জন করেননি, একই সঙ্গে তিনি বাঙালি জাতিকেও মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আজীবন স্বপ্ন ছিলো বাঙালি জাতির শান্তিময় সমৃদ্ধ জীবন। সেই লক্ষ্যে তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কাজ করে গেছেন। বাঙালির জন্য দুর্ভাগ্য যিনি শান্তির দূত হিসেবে বিশ্ববাসীর সামনে পরিচিত হয়েছিলেন, সেই মানুষটিকে ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। 

বিশ্বশান্তি পরিষদ যেমন জুলিও কুরির নামে শান্তি পদক দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে সম্মানিত করেছিলো, তেমনই বঙ্গবন্ধুর নামেও একটি আন্তর্জাতিক শান্তি পদক প্রবর্তন করা হোক এই দাবি ছিলো দীর্ঘদিনের। আনন্দের সংবাদ হলো, সেই দাবি বাস্তবায়ন করছেন তার কন্যা শেখ হাসিনা। গত বছর বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পদকপ্রাপ্তির ৫০ বছরপূর্তির দিনই এই ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অবশেষে শিগগির চালু হচ্ছে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার। সম্প্রতি এই সিদ্ধান্তে কথা জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার দেবে বাংলাদেশ। এজন্য ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক শান্তি পদক নীতিমালা, ২০২৪’র খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতি দুই বছরে দেশি বা বিদেশি একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এ পুরস্কার দেয়া হবে। ফলে এই নীতিমালার আওতায় বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা, যুদ্ধ নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ ও অবদান রাখা, দ্বন্দ্ব সংঘাতময় পরিস্থিতিতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখাসহ সামাজিক পরিবেশগত অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজের সামগ্রিক কল্যাণ সাধনে অবদানের জন্য বাংলাদেশ ও বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পুরস্কার দেয়া যাবে। আমরা মনে করি, এই পুরস্কার বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবিচল আস্থার বিষয়টিকে মূল্যায়ন করা হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদকপ্রাপ্তির দিনে তার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। 

লেখক: সহকারী সম্পাদক, পিআইবি

 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
তিন ধরনের প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন মাধ্যমিকের শিক্ষকরা - dainik shiksha তিন ধরনের প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন মাধ্যমিকের শিক্ষকরা কলেজে ভর্তি: প্রথম ধাপে নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশ কাল - dainik shiksha কলেজে ভর্তি: প্রথম ধাপে নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশ কাল ৫০০১ পদহারা প্রধান শিক্ষকের ঈদ যন্ত্রণা - dainik shiksha ৫০০১ পদহারা প্রধান শিক্ষকের ঈদ যন্ত্রণা দপ্তরিদের ৩ বছরের উৎসব ভাতা না পাওয়া - dainik shiksha দপ্তরিদের ৩ বছরের উৎসব ভাতা না পাওয়া দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা কলেজগুলোর নাম এক নজরে - dainik shiksha র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা কলেজগুলোর নাম এক নজরে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0027878284454346