বঙ্গবন্ধুর ভাষণ আজ বিশ্ব সমাদৃত

মাজহার মান্নান |

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এমন এক মহান ব্যক্তিত্ব..যাকে হিমালয়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।কোনো সাধারণ মানুষ এই তুলনা করেননি। এই তুলনা করেছেন কিউবার নেতা ফিদেল কাস্ত্রো। এই মহাপুরুষ বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি।তিনি শুধু একজন মহান নায়ক নন, তিনি একটি প্রতিষ্ঠান এবং একটি ইতিহাস। প্রতিটি যুগে যখন শোষণ-নিপীড়ন সীমা ছাড়িয়ে যায়, তখন একজন মহাপুরুষের আবির্ভাব ঘটে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমন একজন অনন্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন। এই মহান নেতার জন্ম ঠিক তখনই হয়েছিলো..যখন বাংলার শাসনব্যবস্থাকে কৃমি,কীটে খাওয়া দগ্ধ লাশের চেহারা দেখাচ্ছিলো। বঙ্গবন্ধুকে জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে সীমাহীন নির্যাতন ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হয়েছে। ভয়ঙ্কর ঝড়ের মধ্যেও টিকে থাকা নৌকার মাঝির মতো তার জীবন। পাহাড়ের মতো উঁচু ঢেউ তার জীবন তরীকে ডোবাতে পারেনি। এটা একজন মহান মানুষের পক্ষেই সম্ভব। অসীম সাহস, সুদৃঢ় আত্মবিশ্বাস,উপস্থিত  বুদ্ধি, মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা, প্রবল দেশপ্রেম, অত্যধিক আত্মত্যাগ তাকে সমুজ্জল তারকায় বর্ণাঢ্য করে তুলেছে।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ এবং এটি শুধু ভাষণ নয়, একটি বৃহত্তর দলিল। জাতির প্রামাণ্য ইতিহাস। এটি এমন একটি ভাষণ..যা আগামী শতাব্দী ধরে বেঁচে থাকবে এবং বাঙালিকে অনুপ্রাণিত করবে।এই শিক্ষণীয় ভাষণে, বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠে তার গতিশীল ব্যক্তিত্ব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিশেষজ্ঞরা একে ‘যুগান্তকারী উদ্যোগ’ বলে মনে করছেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের পর সব শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাবেন। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ কোনো সাধারণ ভাষণ ছিলো না। এই ভাষণটি ছিলো বঙ্গবন্ধুর বিশেষ উপাখ্যান ও মাস্টারপিস।এই অলিখিত ভাষণটি ছিলো অত্যন্ত পরিশীলিত, পরিমার্জিত, সাবলীল।বঙ্গবন্ধু  সেদিন তা লক্ষাধিক মানুষের সামনে তুলে ধরেন এবং তারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর এই ব্যক্তিত্বের অপার মুগ্ধতায়।

মহাকাব্যিক এই ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিত্ব, তাঁর জীবনদর্শন, তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও উন্মোচিত।পরবর্তী প্রজন্মকে কীভাবে জীবন সংগ্রামে টিকে থাকতে হয়,কীভাবে লড়াই করে বাঁচতে হয় তার সব নির্দেশনা  দিয়েছেন।বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুধু কতোগুলো সাজানো শব্দের বহিঃপ্রকাশ  ছিলো না, তার ভাষণ অর্থে পরিপূর্ণ ছিলো এবং এই ভাষণে একটি বড় বার্তা দেওয়া হয়..যা বাঙালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করেছিলো।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভালো করেই জানতেন, কীভাবে একটি ভাষণের মাধ্যমে একটি জাতিকে একই প্ল্যাটফর্মে আনতে হয়। সে সময় রেসকোর্স ময়দানে লাখো মানুষ বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে অমিয় কিছু কথা শোনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন। বঙ্গবন্ধু তার ভাষণের মাধ্যমে জাতিকে সেটা উপহার দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু একজন দূরদর্শী নেতা ছিলেন, তিনি সহজেই মানুষের হৃদয়ানুভূতি বুঝতে পারতেন এবং তিনি দক্ষতার সঙ্গে বাঙালির হৃদয়ে প্রবেশ করতে পেরেছিলেন। বঙ্গবন্ধু তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্য দিয়ে দীপ্তিমান কণ্ঠে বাঙালি জাতির রাজনৈতিক মুক্তি, অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তির দাবি জানান। কিছু নেতা বঙ্গবন্ধুকে ৭ মার্চের লিখিত ভাষণ পড়ার অনুরোধ করলেও বঙ্গবন্ধু অলিখিত ভাষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।জনগণের দাবির প্রতিফলন ঘটেছে। বঙ্গবন্ধুর সাহসী ও উদ্যমী ভাষণ তাকে হিমালয়ের মতো বিশাল করেছে।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ও অনন্য ভাষণ আজ সারা বিশ্বে এক অমূল্য সম্পদ..যা ছিলো ১৮ মিনিটের অলিখিত ভাষণ। এই চিরস্থায়ী ভাষণটিকে বাংলার ম্যাগনাকার্টা বলা যেতে পারে। কারণ, এই ভাষণ বাংলার মানুষকে তৎকালীন মুক্তিযুদ্ধে সম্পৃক্ত হতে অনুপ্রাণিত করেছিলো এবং মানুষ নিপীড়ন থেকে মুক্তি পেয়েছিলো। বক্তৃতায় ১১০৮টি শব্দ রয়েছে এবং প্রতিটি শব্দের নিজস্ব অনন্য অর্থ, গভীরতা এবং তাৎপর্য রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ভাষণ ১২টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের সময় রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১০ লাখ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। ২৩ বছরের সীমাহীন শোষণ-নিপীড়ন থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করতে বঙ্গবন্ধু সেদিন এই ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। বঙ্গবন্ধু হঠাৎ করে এই ঐতিহাসিক ভাষণ দেননি। এটা ছিলো একটানা আন্দোলনের চূড়ান্ত রূপ। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও পাকিস্তানের শাসক শ্রেণি ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য প্রতারণার আশ্রয় নেয়। ইয়াহিয়া খান ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ৩ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করেন কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়। এতে বাঙালি জাতির মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর নেতৃত্বে ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২ ও ৩ মার্চ হরতাল পালিত হয় এবং অসহযোগ আন্দোলন ঘোষণা করা হয়। এই উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঐতিহাসিক ভাষণের ক্ষেত্র তৈরি করে।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ তাঁর অনন্যতা, গভীরতা, বহুমাত্রিকতা ও দিকনির্দেশনামূলক উৎকর্ষতার জন্য বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথন।৩০ অক্টোবর(২০১৭) ইউনেস্কো এই ভাষণকে ‘মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড’ রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করেছে।বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের গেটিসবার্গের ভাষণের সঙ্গে তুলনা করা হয়।কিউবার নেতা ফিদেল কাস্ত্রো বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের প্রশংসা করে বলেন,এটি শুধু একটি ভাষণ নয় বরং অনন্য, বহুমাত্রিক দলিল।বর্ণবাদবিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের প্রশংসা করে বলেন, এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার চাবিকাঠি।এই ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু সমগ্র বাঙালি জাতির কাছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছিলেন।বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে চারটি শক্তিশালী দফা তুলে ধরেন এবং সেগুলো হলো ১.সামরিক আইন প্রত্যাহার ২.সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে প্রত্যাহার ৩.গণহত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত ৪.নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর।রাষ্ট্র পরিচালনার চারটি মূলনীতি হলো জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র,গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা এবং এই চারটি বঙ্গবন্ধুর ভাষণে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছিলো।ভাষণে তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং বাংলার মানুষের অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির কথা বলেছেন। বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের ২৩ বছরের শোষণ-নিপীড়নের বর্ণনা দেন।

কালজয়ী সেই ভাষণ আজ ঐতিহাসিক নথি

অনন্তকাল বাঙালি চেতনায় জুগিয়ে যাবে গতি

মানতে পারেনি বঙ্গবন্ধু শোষণ জুলুমের ঘানি

জনসমুদ্রে শোনালেন তাই অমর কবিতাখানি

‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম

এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

৭ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত ১৮ দিন এই ভাষণ বাংলার ৭ কোটি মানুষকে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করেছিলো।  ১৮ মিনিটের ভাষণে তিনি বাঙালির সংগ্রামের ইতিহাসের পুরো ক্যানভাস তুলে ধরেন। তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণ ছিলো এক মহাকাব্যের অনুপম উদাহরণ। বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ভাষণ সম্পর্কে ইউনেস্কোর মন্তব্য উল্লেখ করার মতো।ইউনেস্কোর মতে, ‘ভাষণটি কার্যকরভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা এবং ভাষণটি একটি বিশ্বস্ত দলিল..যা অত্যাধুনিক ছিলো এবং কোনো লিখিত স্ক্রিপ্ট ছিলো না।’ এই ভাষণের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি পৃথিবীর ইতিহাসে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছিলো। এই ভাষণটি ছিলো স্বাধীনতা যুদ্ধ ও গেরিলা যুদ্ধের চূড়ান্ত দিকনির্দেশনা।

পাকিস্তানের একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন,শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চ খুব কৌশলে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন কিন্তু তারা কিছুই করতে পারেননি। বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে একদিকে গেরিলা যুদ্ধের আহ্বান জানিয়েছিলেন, অন্যদিকে কীভাবে যুদ্ধে জয়লাভ করা যায় তার নির্দেশনা দেন। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে নিয়মিত প্রচারিত ‘বজ্রকণ্ঠ’ অনুষ্ঠান শোনার জন্য শহর-গ্রামের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতেন।বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তার বজ্রকণ্ঠ মানুষকে রেখেছিলো প্রাণবন্ত ও উজ্জীবিত।বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান উচ্চারণ করেছিলেন।বঙ্গবন্ধুর উচ্চারিত ‘জয় বাংলা’ স্লোগানটি ছিলো  মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধের মূল প্রেরণা।এই জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান মুক্তিযোদ্ধারা।

১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও ৭ মার্চের ভাষণে তিনি প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তির রূপরেখা ঘোষণা করেন। এই ভাষণ আমাদের জাতীয় জীবনে আজও অনুপ্রেরণা।তিনি বক্তব্যে স্পষ্ট করে বলেন, তিনি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করেননি, তিনি রাজনীতি করেছেন জনগণের মুক্তি ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য।তিনি বলেন,‘আমি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় চাই না। আমরা চাই এদেশের মানুষ তাদের অধিকার পাক’।তিনি তার বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেন,বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত তিনি।তিনি বলেন,‘মনে রাখবেন,যেহেতু আমাদের ইতোমধ্যেই রক্ত ​​ঝরাতে হয়েছে,আমাদের হয়তো আরও অনেক রক্ত ​​ঝরাতে হবে।তাহলে আমরা এদেশের মানুষকে মুক্ত করতে পারবো।’

বক্তৃতায় তিনি শত্রু ও প্রতিপক্ষকে সম্মানের সঙ্গে সম্বোধন করতেন এবং রাজনৈতিক শিষ্টাচার ছিলো তার বক্তব্যের অন্যতম দিক।তাঁর বক্তৃতায় যে কথাগুলো উচ্চারিত হয়েছিলো..তা ছিলো রাজনৈতিক সংযমের বহি:প্রকাশ। ৭ মার্চের ভাষণ নতুন প্রজন্মের জন্য অনন্ত সাহসিকতার উৎস।

বিশ্ব ইতিহাসের প্রায় আড়াই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ ভাষণ নিয়ে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে যুক্তরাজ্য থেকে একটি বই প্রকাশিত হয় এবং বইটির ২০১ পৃষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর ভাষণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ওই বইয়ে ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ শিরোনামে স্থান পেয়েছে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ। একজন বিচক্ষণ ও বিশ্বনেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলেছিলেন, যুদ্ধের কৌশল বপন করেছিলেন, স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন এবং গেরিলা যুদ্ধের কৌশল শিখিয়েছেন।আবার তিনি তার বক্তৃতায় চারটি শর্ত দেন..যাতে পাকিস্তান সরকার তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত না করে। সেই ঐতিহাসিক ভাষণ থেকে নতুন প্রজন্ম শিখেছে কীভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হয় এবং কীভাবে মাথা নত না করে অবিচল থাকতে হয়।কঠিন পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু কীভাবে রাজনৈতিক ভারসাম্য বজায় রেখেছিলেন তা বিশ্বজুড়ে নতুন প্রজন্ম জানতে পারছে। কারো বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র না করে এবং উস্কানি না দিয়ে কীভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হয়..তার বক্তব্য থেকে আমরা শিখেছি। রাজনীতির মাঠে অন্যের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে কীভাবে গণতান্ত্রিক পথে এগিয়ে যেতে হয়, সেই বার্তাও আমরা অনুধাবন করেছি। 

 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা - dainik shiksha মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা - dainik shiksha দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.00235915184021