দৈনিক শিক্ষাডটকম, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : আমরা জাতির পিতাকে স্বাধীনতার পরে ফিরে পেয়েছি। কিন্তু কিছু কুলাঙ্গার, মীর জাফর ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করে। তারা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলো। এই ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে ছিলো খন্দকার মোশতাক, জিয়াউর রহমান এবং তাদের দোসররা। তারা বাংলাদেশে আবারো পাকিস্তানি কায়দায় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিলো। তারপর আসে তাদেরই আর এক দোসর এরশাদ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন উপলক্ষে কসবা উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সরকার গঠন করেছিলেন রাজাকার আলবদরদের নিয়ে। এরশাদও তাই করেন। তারা আজ বড় বড় কথা বলেন। তারা নাকি গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করছেন। তারা হত্যাতন্ত্রের জন্য সারাজীবন যুদ্ধ করেছেন। তারা নিরীহ বাঙালিদের হত্যা করেছেন, জাতির পিতাকে হত্যা করেছেন। এরপরও তারা আজ বড় বড় কথা বলে, গণতন্ত্রের কথা বলেন।
উপস্থিত জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে আইনমন্ত্রী বলেন, কখনো তাদের এই ভাওতাবাজিতে ভুলবেন না। আপনারা কখনোই তাদেরকে ভাতাবাজি দেয়ার সুযোগ আর দিবেন না। আজকে ৭ মার্চের শপথ হবে বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার, উন্নয়নের রোল মডেল করার। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২০৪১ খ্রিষ্টাব্দে ইনশাআল্লাহ তার স্বপ্নমতো বাংলাদেশ উন্নত দেশের মর্যাদা অর্জন করবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কসবা পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, কসবা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন, জেলা পরিষদ সদস্য আবদুল আজিজ, সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, কুটি ইউপি চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান স্বপনসহ দলীয় নেতাকর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।