বহুল প্রত্যাশিত বঙ্গবন্ধু টানেলের দুয়ার খুলছে আগামীকাল শনিবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম এই টানেলের উদ্বোধন করবেন। আর আগামী রোববার সকাল ৬টা থেকে সর্বসাধারণের যান চলাচলের জন্য টানেলটি খুলে দেয়া হবে।
এই টানেল চালু হলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজারের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার ও এক ঘণ্টা সময় কমে যাবে। চট্টগ্রামের নতুন শহর গড়ে উঠবে নদীর অপর প্রান্তেও।
সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আনোয়ারা প্রান্তে ব্রিজ ভায়াডাক্টের দৈর্ঘ্য ৭২৭ মিটার। অ্যাপ্রোচ সড়কের দৈর্ঘ্য ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার। টোল প্লাজার দৈর্ঘ্য ৭ হাজার ৬০০ বর্গমিটার। এ ছাড়া আনোয়ারা প্রান্তে সংযোগ সড়কের সঙ্গে ৭২৭ মিটার ভায়াডাক্ট (উড়াল সড়ক) রয়েছে। টানেলে আন্ডার পাসের সংখ্যা আনোয়ারা প্রান্তে পাঁচটি ও পতেঙ্গা প্রান্তে একটি আর কালভার্টের সংখ্যা ১২টি। এছাড়া সার্ভিস এলাকায় ৩০টি বাংলো, একটি ভিআইপি বাংলোসহ মোটেল মেস, হেলথ সেন্টার, কনভেনশন সেন্টার, জাদুঘর, সুইমিংপুল, ব্রিজ, মসজিদ ও অভ্যন্তরীণ রাস্তা থাকবে।
সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, টানেলের দুপাশে দুটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, পুলিশের ক্যাম্প নির্মাণ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক কার্যক্রম এখনও বাকি। এছাড়া নিরাপত্তার জন্য স্ক্যান মেশিন বসানো হচ্ছে।
সেতু বিভাগ থেকে জানা যায়, দুই টিউব সংবলিত মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার। এ দুই টিউব তিনটি সংযোগ পথের (ক্রস প্যাসেজ) মাধ্যমে যুক্ত থাকবে। বিপদের সময় অন্য টিউবে গমনের জন্য এ ক্রস প্যাসেজগুলো ব্যবহার হবে। টানেল টিউবের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার ও ভেতরের ব্যাস ১০ দশমিক ৮০ মিটার। দুটি টিউবের চার লেনের সড়কের মাধ্যমে নদীর তলদেশ দিয়ে পাঁচ মিনিটে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে যাওয়া যাবে আনোয়ারায়।
এদিকে, পতেঙ্গা প্রান্ত থেকে উদ্বোধনের পর আনোয়ারা প্রান্তে জনসমাবেশে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর আগমনে বার্তায় চট্টগ্রাম উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে।