ফেনীতে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৯ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী। এ ঘটনায় আয়েশা আক্তার নামে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল সকালে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শহর ফাঁড়ির পুলিশ ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক দোস মোহাম্মদ।
নির্যাতনের শিকার কিশোরী শহরের ফেনী সেন্ট্রাল হাইস্কুলের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী। মামলার এজাহারের বারতে পুলিশ পরিদর্শক জানায়, শুক্রবার বিকালে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে ওই ছাত্রী শহরের রামপুর এলাকার বাসা থেকে বের হয়। সে পশ্চিম উকিলপাড়া ভাইটাল রিচার্স-১ ইউনিটের সামনে গেলে তাকে প্রলোভনে ফেলে বন্ধু মিশু নামে এক যুবক সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নেয়।
সেখান থেকে শহরের রামপুর মসজিদ সংলগ্ন জাহানারা ম্যানশনের তৃতীয় তলার একটি বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে মিশু তাকে ধর্ষণ করে। পরে ওই বাসা থেকে বের হয়ে রাতে ছাত্রীটি তার পরিবারকে বিষয়টি অবগত করে। এ ঘটনায় মিশু এবং ওই বাসার বাসিন্দা আয়েশা আক্তারকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রোববার ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করে নির্যাতিতার বড়বোন।
পরিদর্শক জানায়, রোববার ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ওই ছাত্রীর মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। পরে বিকালে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমাতুজ জোহরা মুনার আদালতে নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রী ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দোস মোহাম্মদ আরও জানান, মামলার প্রধান আসামি মিশুর পরিচয় শনাক্ত ও তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।