কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মেডিকেল টেকনোলজি কোর্স বন্ধ হয়ে গেল। এখন থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই কোর্সটি পরিচালিত হবে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিবের সভাপতিত্বে রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদের ১৮১তম গভর্নিং বডির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদনে মেডিকেল টেকনোলজি কোর্স পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রণীত 'বেসরকারি খাতে মেডিকেল টেকনোলজি স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা ২০১০' অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। কাগজপত্র সন্তোষজনক বিবেচিত হলে তারা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পাবে। একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্ত গত ১৪ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডকে জানানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ২ আগস্ট তাদের আওতাধীন মেডিকেল টেকনোলজি কোর্স পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অধ্যক্ষ ও পরিচালকদের এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা বাস্তবায়নের অনুরোধ করেছে। এর মধ্য দিয়ে গত ১৬ বছর ধরে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় চলে আসা মেডিকেল টেকনোলজি কোর্সটির অবসান ঘটল। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬২ সাল থেকে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আলোকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ও রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদের অধিভুক্ত হয়ে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মেডিকেল টেকনোলজি কোর্স পরিচালিত হয়ে আসছে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ২০০৫ সালে মেডিকেল টেকনোলজি কোর্সটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য অনুমোদন দেয়। এতে করে জটিলতা শুরু হয়। ১৬ বছর ধরে এ নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল।
বাংলাদেশ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব মো. সেলিম মোল্লা বলেন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মেডিকেল টেকনোলজি কোর্সটি বন্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। তবে শুধু কোর্স এবং প্রতিষ্ঠান বন্ধ করলেই সব সমস্যার সমাধান হবে না। সর্বোচ্চ আদালতের এবং আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সব নির্দেশনা অবিলম্বে বাস্তবায়নের মাধ্যমে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে চলা জটিলতার নিরসন করতে হবে।