বন্যা কবলিত এলাকায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিতে ফেনী, কুমিল্লা অন্যান্য অঞ্চলের জনগণের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা এবং ক্ষতিগ্রস্ত টাওয়ার মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার ডাক, টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতাধীন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
এছাড়া, বন্যা প্লাবিত ফেনী, কুমিল্লা ও অন্যান্য অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক নিশ্চিতকরনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ বিভিন্ন পদক্ষেপও গ্রহণ করেছে। সেগুলো হলো: ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং এর আওতাধীন দপ্তর/ সংস্থাসমূহে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক মনিটর করা হচ্ছে। কন্ট্রোলরুমে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের তালিকা ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। এছাড়া বিটিআরসি, বিটিসিএল ও টেলিটক হতে Emergency Response Team গঠন করা হয়েছে।
২২ আগস্ট সকাল ৮টার রিপোর্ট অনুযায়ী, বন্যা প্লাবিত ১১টি জেলায় মোট ৬৯৮৬ টি সাইটের (টাওয়ার) মধ্যে ৫৪৭৬ টি সাইট সচল আছে। অচল টাওয়ারের হার ২১.৬ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফেনী এবং খাগড়াছড়ির টাওয়ার যার শতকরা হার যথাক্রমে ৪২.৪% এবং ৪১.৫%। অচল টাওয়ারসমূহ দ্রুত সচল করার ব্যবস্থা অব্যাহত আছে।
বন্যা কবলিত এলাকার জনগণের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করার জন্য বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির সহায়তায় ১০টি V-SAT প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তন্মধ্যে ৫ টি V-SAT ফেনীর জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল টাওয়ার সার্বক্ষণিক চালু রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সব মোবাইল অপারেটর এবং টাওয়ার শেয়ারিং কোম্পানিদের বিটিআরসি হতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অপারেটরদের সঙ্গে বিটিআরসি হতে ভার্চুয়ালি সার্বক্ষণিক যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
টেলিকম অপারেটরদের সাইটসমূহ সচল রাখার জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও বিদ্যুৎ সঞ্চালন এবং বিতরণের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিটিআরসি সমন্বয় সাধন করছে।
টেলিকম অপারেটরদের নিজস্ব নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা অটুট রেখে পর্যাপ্ত পাওয়ার ব্যাকআপ (ব্যাটারি ব্যাকআপ, ডিজেল জেনারেটর, পোর্টেবল জেনারেটর ইত্যাদি) এর ব্যবস্থা গ্রহণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দেশের চারটি মোবাইল অপারেটর এর সহায়তায় বন্যা কবলিত এলাকার মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য ৫০০ মেগাবাইট ডাটা ফ্রি করা হয়েছে।