যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি এবং টানা বৃষ্টিতে টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী উপজেলার দুই শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠ ও ক্লাসরুম পানিতে ডুবে গেছে। উপজেলার পশ্চিম অঞ্চলের হাতিয়া যমুনা কলেজ, চরনগরবাড়ী বিএম কলেজ, আফাজ উদ্দিন কৃষি কলেজ, আনোয়ারা হাসেম উচ্চ বিদ্যালয়, পটল উচ্চ বিদ্যালয়, হাজী শমসের আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সল্লা সমবায় উচ্চ বিদ্যালয়, গোহালিয়াবাড়ী মাদ্রাসা, নারান্দিয়া টি আর কে এন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আলীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেশ কিছু দিন হলো বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে।
গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে এলেঙ্গা পৌরসভার এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়, চরবাঁশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হিজুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফুলতলা উচ্চ বিদ্যালয়, এলেঙ্গা বি এম কলেজ, মর্সিন্দা-চেঁচুয়া উচ্চ বিদ্যালয়, রাজাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উপজেলা সদরে অবস্থিত ইসলামী কিন্ডারগার্টেন, আওলিয়াবাদ করিমুন্নেছা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, বল্লা করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয়, গোপালদীঘি উচ্চ বিদ্যালয়, গান্ধিনা লায়ন ফেরদৌস আলম ফিরোজ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ছাতিহাটী শহীদ শাহেদ হাজারী কলেজ, নাগবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়সহ অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
সরেজমিন দেখা যায়, বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বানভাসি মানুষের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু এদের মধ্যে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি ও অফিস কক্ষে পানি ওঠার কারণে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও আসবাবপত্র সরিয়ে দিচ্ছেন প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। আশ্রয় নেওয়া দুর্গত মানুষগুলোও অন্যত্র সরে যাচ্ছেন। এদিকে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যের অভাব। বৃষ্টি ও যমুনার পানি এভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
কালিহাতীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহরিয়ার হোসেন জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবহিত আছি। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।