জামালপুরে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় জেলার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ২৩ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, জেলায় এক হাজার ১৬১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৫৯১টি মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত পাঠদান চলে। কিন্তু সম্প্রতি বন্যায় কিছু প্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। দেওয়ানগঞ্জের বাংলাদেশ রেলওয়ে উচ্চবিদ্যালয় এবং ইসলামপুরের চিনাডুলি উচ্চবিদ্যালয়কে প্রতিবারের মতো বন্যার্তদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করায় এ দুটি প্রতিষ্ঠানেও পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জেলায় ২১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি ঢুকেছে। এর মধ্যে ১৬৫টি প্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। পানি নেমে যাওয়ার পরই এগুলো প্রতিষ্ঠানকে পাঠদানের জন্য উপযুক্ত করা হবে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মনিরা মুস্তারী ইভা বলেন, জেলার ২৩টি প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় প্রতিষ্ঠানগুলোর পাঠদান বন্ধ রয়েছে। দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বানভাসিদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও আরও কিছু প্রতিষ্ঠান বানভাসিদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করার জন্য আবেদন করা হয়েছে।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ বলেন, জেলার নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অপরিবর্তিত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি বিপৎসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার এবং ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ১৪ দশমিক ৬১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, বৃহস্পতিবার থেকে পানি কমতে পারে।