দেশের চলমান বন্যায় এ পর্যন্ত চার অঞ্চলের ১ লাখ ৩৭ হাজার ৮৬১ জন এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও সাড়ে ৫০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে ৬৩২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে পরীক্ষাকেন্দ্র ১৭৩টি। মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত চার অঞ্চলের মধ্যে কুমিল্লায় ১৪৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ১২টি পরীক্ষাকেন্দ্র আর ৯২ হাজার ৯৭৫ এইচএসসি পরীক্ষার্থী রয়েছে। এ অঞ্চলে ৩৯৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
সিলেটে রয়েছে ২৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ৩টি পরীক্ষাকেন্দ্র ও ১৮ হাজার ১৭৯ জন এইচএসসি পরীক্ষার্থী। এ ছাড়াও ৪৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৩৭৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ১৫৮টি পরীক্ষাকেন্দ্রের ২৬ হাজার ৭০৭ জন পরীক্ষার্থী।
আর এ অঞ্চলে ১৯২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
খুলনা অঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই অঞ্চলে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যবহৃত হয়নি। এ ছাড়াও বন্যায় ঢাকা এবং বরিশাল অঞ্চলের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
প্রসঙ্গত, এদিকে এখন পর্যন্ত ১১ জেলায় মোট ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৫৬ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৫ জন। পানিবন্দি পরিবার ১২ লাখ ৭ হাজার ৪২৯টি। ৭৪ উপজেলা বন্যা প্লাবিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন-পৌরসভা ৫৪১টি।
এখন পর্যন্ত বন্যায় মোট ২৭ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে কুমিল্লায় ১০ জন, ফেনীতে একজন, চট্টগ্রামে ৫ জন, খাগড়াছড়িতে একজন, নোয়াখালীতে ৫ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া একজন, লক্ষ্মীপুরে একজন এবং কক্সবাজারে তিনজন মারা গেছেন।