বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে কুড়িগ্রামের কিছু কিছু দুর্গত এলাকা থেকে। এসব এলাকার কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পানি নেমে গেলেও এখনো পাঠদান উপযোগী হয়ে ওঠেনি। ভয়াবহ বন্যায় এখনও জেলার চিলমারী ও উলিপুরের ৩৪২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাঠদানের অনুপযোগী। এসব প্রতিষ্ঠানের কয়েকটি থেকে পানি নেমে গেলেও সেগুলো পাঠদানের উপযোগী না হওয়ায় শ্রেণির কাজ শুরু হয়নি। তবে, শিক্ষার্থীদের স্বার্থে এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাবলিক পরীক্ষার ফরম পূরণ কার্যক্রম চালু রয়েছে। দুই উপজেলার শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চলতি মাসের শুরুতে ভয়াবহ বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চিলমারী উপজেলার ১২৬টি ও উলিপুর উপজেলার ২১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কর্মকর্তারা জানান, এসব প্রতিষ্ঠান থেকে বানের পানি নামতে শুরু করেছে। তবে পাঠদান উপযোগী হয়ে ওঠেনি। চলতি বছরের জেডিসি, জেএসসি ও ভোকেশনাল শাখার নবম শ্রেণীর সমাপনী পরিক্ষার ফরম পূরণ ও কলেজ শাখায় ভর্তি কার্যক্রম চলছে। এ তালিকায় চিলমারী উপজেলার ৯৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৯টি স্কুল, ৪টি কলেজ এবং উলিপুর উপজেলার ১৬৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪৯টি স্কুল ও মাদরাসা এবং ৪টি কলেজসহ দুটি উপজেলার মোট ৩৪২টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
চিলমারী গোলাম হাবিব মহিলা ডিগ্রী কলেজের সহ-অধ্যাপক মামুন অর রশিদ দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, কলেজ রুম থেকে বানের পানি নেমে গেলেও এখনো পাঠদান উপযোগী হয়নি। তবে, ফরমপূরণ ও কলেজ শাখায় ভর্তি কার্যক্রম চালু রয়েছে।
থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. তৈয়ব আলী দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, এখনো মাঠে পানি জমে রয়েছে। তাই, শিক্ষার্থী অনুপস্থিত। এ কারণে চলতি বছরের জেএসসি ও ভোকেশনাল শাখার ফরম পুরণ করার জন্য বিভিন্নভাবে তাদেরকে জানানো হচ্ছে।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা করা হয়েছে বলে দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানিয়েছেন চিলমারী উপজেলার নির্বাহী অফিসার শাহ মো. শামসুজ্জোহা ও উলিপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল কাদের। এসব প্রতিষ্ঠানে পাঠদান উপযোগী করতে উপজেলা প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলেও দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে আশ্বস্ত করেন তারা।