ববিতে কর্মকর্তা-শিক্ষার্থী দ্বৈরথের অবসান

ববি প্রতিনিধি |

শিক্ষার্থীদের ১৭ দফা দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাকর্মীরা। একইসঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে কর্মকর্তা–শিক্ষার্থীদের মধ্যে তৈরি হওয়া দূরত্ব দূর করতে উভয়পক্ষের প্রতিনিধিদের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মিলিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে দু’পক্ষের প্রতিনিধিরা সম্মতি প্রকাশ করে সভায়।  

বুধবার (২ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচ তলায় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের কক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাকর্মীরা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রতিনিধি এবং সংবাদমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অমিত হাসান রক্তিম বলেন, গত সোমবার আমরা ভিসি স্যারের কাছে ১৭ দফা দাবি পেশ করেছি। সেখানে এমন কোনো দাবি ছিল না, যেটা কর্মকর্তাদের জন্য অসম্মানজনক। কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধন করা বা না করা নিয়ে রেজিস্ট্রার স্যারের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হলেও সেটি কোনো দাবি ছিল না। কিন্তু একটি পক্ষ সুকৌশলে আমাদেরকে এবং কর্মকর্তাদেরকে মুখোমুখি দাড় করিয়ে দেবার পায়তারা করেছিল।  

শিক্ষার্থী প্রতিনিধি শফিক মুন্সি বলেন, শিক্ষার্থীদের যেকোনো একাডেমিক জটিলতার সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের ভূমিকা অনেক। সেই ভূমিকা পালনে তারা যেন আন্তরিকতা প্রকাশ করে সেই প্রত্যাশা তাদের প্রতি থাকবে। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের দ্বারা কোনো কর্মকর্তা যেন অসম্মানিত না হয় সে বিষয়েও সচেতনতা প্রয়োজন। আজ আমরা দু’পক্ষই বসে এসব বিষয় সমাধান করার চেষ্টা করেছি।

সভা শেষে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বাহাউদ্দীন গোলাপ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা চায় শিক্ষার্থীরা ভিসি স্যারের কাছে যে ১৭ দফা দাবি পেশ করেছে সেগুলোর যৌক্তিকতা অনুযায়ী সমাধান করা হোক। আজ তারা আমাদের সঙ্গে বসেছিল এবং সম্প্রতি আমাদের মধ্যকার কিছু ভুল বোঝাবুঝির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে শিক্ষাব্যয় কমানো, আবাসন–পরিবহন সংকট দূর করা, হলের খাবারের মান বৃদ্ধি, নতুন একাডেমিক ভবন তৈরিসহ নানা ধরণের দাবি পেশ করা হয় ভিসি ড. মো. ছাদেকুল আরেফিনের কাছে। একাডেমিক জটিলতা দূরকরণে জোরালো পদক্ষেপের দাবিতে একই দিনে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সুপ্রভাত হালদারকে এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে শিক্ষার্থীরা।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ডিজি হলেন - dainik shiksha এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ডিজি হলেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার চলতি দায়িত্ব দিতে আবেদন আহ্বান - dainik shiksha মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার চলতি দায়িত্ব দিতে আবেদন আহ্বান বন্যায় ১২শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩৭ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি - dainik shiksha বন্যায় ১২শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩৭ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি কলেজে সাংস্কৃতিক-ক্রীড়া কোটায় ভর্তির সুযোগ - dainik shiksha কলেজে সাংস্কৃতিক-ক্রীড়া কোটায় ভর্তির সুযোগ শিরীন শারমিনের পদত্যাগে স্পিকার পদে কি শূন্যতা তৈরি হলো - dainik shiksha শিরীন শারমিনের পদত্যাগে স্পিকার পদে কি শূন্যতা তৈরি হলো শিক্ষা সংস্কারে বাংলাদেশ-চীন কাজ করবে - dainik shiksha শিক্ষা সংস্কারে বাংলাদেশ-চীন কাজ করবে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0027189254760742