পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজবরখাস্তের সিদ্ধান্ত হওয়া শিক্ষক পেলেন প্রতিষ্ঠানপ্রধানের দায়িত্ব

নিজস্ব প্রতিবেদক |

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধীন পরিচালিত পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হওয়া এক শিক্ষককে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। তবে পেশাগত অসদাচরণ, দুর্নীতি ও নৈতিক স্খলনের অভিযোগ থাকা ওই শিক্ষকের সঙ্গে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন অন্য শিক্ষকেরা। তারা এরই মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বিষয়টি জানিয়েছেন। ওই শিক্ষকের নাম শরিফুল আলম।

  

প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুস সাত্তার বলেন, শরিফুল আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, সনদ জাল করা, শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রদের উসকে দেয়া, মানসিক নির্যাতন, নৈতিক স্খলন, নারী সহকর্মীদের অনৈতিক কাজের প্রস্তাবসহ নানা অভিযোগ আছে। এসব অভিযোগে গত বছরের ২৫ মে তাকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তখন তিনি সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে ছিলেন। গত বছরের ২৩ নভেম্বর গভর্নিং বোর্ডের সভায় সর্বসম্মতভাবে তাকে চাকরি হতে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সিদ্ধান্তটি অনুমোদনের জন্য ৩০ নভেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের আপিল অ্যান্ড আরবিট্রেশন কমিটির কাছে আবেদন করা হয়।

সম্প্রতি সেই শিক্ষককে প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য নির্দেশ দিয়েছে মাউশি। নির্দেশনা পাওয়ার পর সেই শিক্ষক যখন দায়িত্ব নিতে আসেন, তখন বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ প্রতিষ্ঠানটির কিছু শিক্ষক এর বিরোধিতা করেন।

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলেন, তারা ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করেছেন। তিনি বিষয়টি পুনঃ তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। উপাচার্যকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আবদুস সাত্তার বলেন, ‘ওই শিক্ষক স্কুলের এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের হাজিরা খাতায় নিয়ে গেছেন এবং বিভিন্ন সময় আমাদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।’

শরিফুল আলমের দাবি, তাকে হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘যেহেতু মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর আমাকে প্রতিষ্ঠানপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দিয়েছে, তাই এখন আমার সঙ্গে কে দায়িত্ব পালন করবেন, কে করবেন না—এটা তাদের (শিক্ষকদের) একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। আমার মাত্র ৯ দিন চাকরিজীবন রয়েছে। আমি আমার দায়িত্ব পালন করে চাকরিজীবন শেষ করতে চাই।’

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাদেকা হালিম বলেন, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে যেসব অভিযোগ উঠেছে, মনে হয় সেসব আমলে নেয়নি অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকেরা অভিযোগগুলো নিয়ে এসেছিলেন। বিশেষ করে সেই শিক্ষকের সঙ্গে কাজ করতে নারী শিক্ষকেরা অনেক বেশি অনিরাপদ বোধ করছেন। যদি সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো সত্য হয়ে থাকে, তবে প্রতিষ্ঠানের স্থিতিশীলতার জন্য তাকে দায়িত্ব দেয়া ভালো হবে না।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
একাদশ-দ্বাদশ বাংলা-ইংরেজির সিলেবাস প্রকাশ - dainik shiksha একাদশ-দ্বাদশ বাংলা-ইংরেজির সিলেবাস প্রকাশ ভিকারুননিসা নূন স্কুলে ১ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha ভিকারুননিসা নূন স্কুলে ১ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে ঠুঁটো জগন্নাথ অধ্যাপকের পকেটে ৬০ লাখ টাকা - dainik shiksha ঠুঁটো জগন্নাথ অধ্যাপকের পকেটে ৬০ লাখ টাকা সব কয়টারে গু*লি কইরা মা*রমু - dainik shiksha সব কয়টারে গু*লি কইরা মা*রমু স্কুলে ভর্তি: সরকারিতে জোয়ার, বেসরকারিতে ভাটা - dainik shiksha স্কুলে ভর্তি: সরকারিতে জোয়ার, বেসরকারিতে ভাটা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণের দাবি যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা - dainik shiksha স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণের দাবি যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0058588981628418