বরগুনার বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মালামাল ক্রয়ের দরপত্র উম্মুক্ত সভা শেষে ভুরিভোজ করানোর অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) দুপুরে বামনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত আইসোলেশন কক্ষের নিচের তলায় এ ভোজ অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, বামনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি মালামাল ক্রয়ের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। আজ মঙ্গলবার ওই দরপত্র উম্মুক্তের দিন ছিল। পরে এ উপলক্ষে জেলা ও স্থানীয় পর্যায়ের ২৪ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী দুপুরে ভুরিভোজে অংশ নেন। বর্তমান করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে যেখানে সরকার সকল প্রকার সামাজিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দিয়েছেন, সেখানে খোদ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও কর্মচারীরা একসঙ্গে বসে কীভাবে ভুরিভোজে অংশ নেন?
এছাড়া বরগুনা সদর হাসপাতালে করোনা ভাইরাস সন্দেহে একজন চিকিৎসক বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন। সেই হাসপাতাল থেকে দুজন কর্মকর্তাও এ ভুরিভোজে অংশ নেন। এছাড়া বামনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৫ জন চিকিৎসক, ১২ জন কর্মকর্তা ও ৭ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী অংশ নেন এই ভুরিভোজে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তাদের এ ভুরিভোজের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এতে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, কোনো প্রকার সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই তারা ভুরিভোজ করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মচারী জানান, দেশব্যাপী এমন পরিস্থিতির মধ্যে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তাদের এমন কর্মকাণ্ড জনগণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ।
এ ব্যপারে বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মনিরুজ্জামান ভুরিভোজের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, মালামাল ক্রয়ের দরপত্র খোলার পরে বাজারে কোনো হোটেল খোলা না থাকার কারণে বরগুনার দুজন চিকিৎসক ও আমরা দুই থেকে তিনজন হাসপাতালের ভিতরেই রান্না করে খেয়েছি।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. হুমায়ূন শাহীন খান বলেন, ভুরিভোজের বিষয়টি আপনার কাছ থেকে জানলাম, আমি বিষয়টি তদন্ত করে দেখব।