সুশমিতা আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করছেন তার স্বামী মাইনুল ইসলাম শান্ত। শনিবার (৮ জুন) রাতে নগরীর ২১ নম্বর ওয়ার্ডের ধোপাবাড়ির মোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত কলেজ ছাত্রী সুস্মিতা সরকার (১৮) নগরীর নবগ্রাম রোড এলাকার বাসিন্দা স্বপন সরকারের মেয়ে এবং সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। ময়নাতদন্তের জন্য তার মৃতদেহ শেবাচিমের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনায় তার স্বামী মাইনুল ইসলাম শান্তকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল থেকে আটক করেছে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ। সে নগরীর ধোপাবাড়ির মোড় এলাকার বাসিন্দা আলতাফ হোসেনের ছেলে বলে জানিয়েছেন মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইদুল হক।
স্থানীয় সূত্র ও স্বামীর স্বজনরা জানায়, ইসলাম ধর্মাবলম্বী ছেলে মাইনুল ইসলাম শান্ত’র সাথে খ্রিষ্টান ধর্মালম্বী ও কলেজ ছাত্রী সুস্মিতা সরকারের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। কিন্তু তাদের এই সম্পর্ক দুই পরিবারের কেউ মেনে নেয়নি। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে।
তারা আরও জানান, পারিবারিক কলহের জ্বের ধরে শনিবার রাতে ধোপাবাড়ির মোড় এলাকায় স্বামীর বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সুশমিতা। মুমুর্ষ অবস্থায় সুস্মিতাকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সাইদুল হক দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, সুশমিতাকে তার স্বামী শান্তই হাসপাতালে নিয়ে আসে। খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে পৌছে সেখান থেকে তাকে আটক করি। শান্তর বক্তব্য অনুযায়ী সুশমিতা আত্মহত্যা করেছে। তবে সুশমিতার মৃত্যু নিয়ে রহস্য রয়েছে। তাই এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা সে বিষয়টি আমরা এখনো নিশ্চিত নই। ময়নাতদন্তে বিষয়টি বেরিয়ে আসবে। তাছাড়া আটক শান্তকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
