বশেমুরবিপ্রবি‘র শেখ রেহানা হলের কর্মচারী লাভলীর হাতে জিম্মি শিক্ষার্থীরা

আমাদের বার্তা, বশেমুরবিপ্রবি |

শিক্ষার্থীদের মানসিক নির্যাতন, নিজের কাজ করিয়ে নেয়া, অভিনব কৌশলে হলের সিট প্রদানসহ নানা অভিযোগে বিতর্কিত গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রেহানা হলের কর্মচারী লাভলী ইয়াসমিন ইমু।

গত ২৯ মে রাতে শেখ রেহানা হলের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে। কয়েক ঘন্টাব্যাপী হলের সামনের রাস্তায় অবস্থান করার পর প্রক্টরসহ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেয়ার পর অবস্থান কর্মসূচি তুলে নেয়া হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ ও বিভিন্ন দাবি সম্বলিত চিঠি প্রদান করা হয়। সেখানে হলের কর্মচারীদের অনিয়ম ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ করা হয়।

পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, লাভলীর অনৈতিক কার্যক্রম ও খারাপ ব্যবহারে অতিষ্ট হয়ে একাধিকবার প্রভোস্ট বরাবর লিখিত এবং মৌখিক অভিযোগ দিলেও তার সুষ্ঠু বিচার পায়নি শিক্ষার্থীরা। উল্টো হল প্রভোস্ট কর্মচারীর পক্ষ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মানুষিক নির্যাতন করেন। একাধিকবার শিক্ষার্থীরা কান্নাকাটি করে বের হয়ে গেছেন।

বিভাগের প্রথম হওয়া শিক্ষার্থীকে হেয় প্রতিপন্ন করা থেকে থেকে শুরু করে অসুস্থ শিক্ষার্থীর মাকে শিক্ষার্থীর সামনেই অপমান অপদস্ত করার অভিযোগ এই কর্মচারীর বিরুদ্ধে। মার্কেটিং বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, আমার অপারেশন হওয়ার পরে খুব প্রয়োজন ছিলো হলের সিট। দূর থেকে এসে ক্লাস করা কোনভাবেই সম্ভব হচ্ছিল না। এ বিষয়ে আমার মা এসে অনুরোধ করলে লাভলী নামক কর্মচারী আমার মাকে আমার সামনেই অপমান অপদস্ত করেন।

অভিযোগ দিলে কিংবা নাম প্রকাশ করা হলেই শিক্ষার্থীদের উপর স্টিম রোলার চালান কর্মচারী লাভলী। পাশাপাশি প্রভোস্টকে প্রভাবিত করে হলের সিট না দেয়া, সিট বাতিল করাসহ বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীদের হয়রানি করা হয়। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা হল প্রভোস্ট ও কর্মচারীর পদত্যাগ চেয়ে সরব হয়।

শেখ রেহানা হলের এলোটেড শিক্ষার্থী মর্তুজা আরেফীন নিহা বলেন, আমি এলোটেড হওয়ার পরেও আমাকে উঠতে দেয়া হয়নি হলে। আমি বিভাগে প্রথম হয়েছি। এসব নিয়েও আমাকে অপমান অপদস্ত করা হয়েছে। হল প্রভোস্ট এর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কিছু হয় নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, কর্মচারী লাভলীর বিরুদ্ধে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরাসহ অনেকেই মৌখিকভাবে অনেকবার অভিযোগ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের আন্দোলন চলছে। পরিবেশ স্থিতিশীল হলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে কর্মচারীর পরিবর্তে শিক্ষার্থীদেরই দোষ তুলে ধরেন হল প্রভোস্ট সামসুন্নাহার পপি। তিনি বলেন শিক্ষার্থীরা একপক্ষ অভিযোগ করছে কিনা যাচাই করুন। শিক্ষার্থীরা আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। তবে লাভলীর বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগের বিষয় স্বীকার করেন হল প্রভোস্ট। 

এ বিষয়ে কর্মচারী লাভলী ইয়াসমিন ইমু বলেন, আমার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের এসব অভিযোগ মিথ্যা।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি - dainik shiksha শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি কারিগরি শিক্ষকদের অক্টোবর মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha কারিগরি শিক্ষকদের অক্টোবর মাসের এমপিওর চেক ছাড় সরকারি কর্মচারীদের ৯ দফা নির্দেশনা - dainik shiksha সরকারি কর্মচারীদের ৯ দফা নির্দেশনা স্কুল-কলেজে বেতন ছাড়া সব ফি বেঁধে দিলো সরকার - dainik shiksha স্কুল-কলেজে বেতন ছাড়া সব ফি বেঁধে দিলো সরকার সব শিক্ষকের স্বার্থ সংরক্ষণ করে বদলির নীতিমালা : সাক্ষাৎকারে শিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha সব শিক্ষকের স্বার্থ সংরক্ষণ করে বদলির নীতিমালা : সাক্ষাৎকারে শিক্ষা উপদেষ্টা ঢাবিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম - dainik shiksha ঢাবিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম ক্যামব্রিয়ানের বাশারকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত - dainik shiksha ক্যামব্রিয়ানের বাশারকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: অষ্টম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: অষ্টম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা কল্যাণের হবে না: ছাত্রদল সম্পাদক - dainik shiksha ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা কল্যাণের হবে না: ছাত্রদল সম্পাদক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0023479461669922