রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সক্রিয় সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (১২ মে) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ৬ষ্ঠ ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি রোহিঙ্গা সমস্যার বিষয়টি তুলে ধরেন।
দুই দিনব্যাপী কনফারেন্সে যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ ২৫টি দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিসহ হাইব্রিড ফরমেটে এতে বিভিন্ন দেশের দেড় শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যাকে বৈশ্বিক সমস্যা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের পক্ষে তাদের বোঝা টানা আর সম্ভব হচ্ছে না।
এ সময় সমুদ্র বিষয়ে বিপুল সম্ভাবনা থাকার পরেও ভারত অঞ্চল অবহেলিত বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি শান্তি ও সমৃদ্ধ প্রতিষ্ঠায় এ অঞ্চলের দেশগুলোকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘এ অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধ প্রতিষ্ঠায় দেশগুলোকে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা চালালে দেশগুলো সমুদ্র সম্পদ ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে আরও উপকৃত হবে।’
ঢাকায় দু’দিনব্যাপী ষষ্ঠ ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্সে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশ হওয়া সত্ত্বেও মিয়ানমারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে ওই সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
এদিকে সম্মেলনের উদ্বোধন ছাড়াও অভ্যাগত অতিথিদের সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রীর অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।
ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স (আইওসি) ২০১৬ সালে শুরু হয়েছিল এবং গত ছয় বছরে এটি আঞ্চলিক বিষয়ে এই অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য একটি ফ্ল্যাগশিপ পরামর্শমূলক ফোরাম হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে আইওসির মোট ৫টি সম্মেলন হয়ছে। এর মধ্যে ২০১৬ সালে সিঙ্গাপুরে, ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কায়, ২০১৮ সালে ভিয়েতনামে, ২০১৯ সালে মালদ্বীপে এবং ২০১১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সম্মেলন হয়েছে।
কোভিড-পরবর্তী অবস্থা এবং চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এবারের কনফারেন্সের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘টেকসই ভবিষ্যতের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি ও অংশীদারিত্ব’।
এরআগে, সম্মেলন বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, ‘আমরা আশা করছি, এই কনফারেন্স থেকে ভারত মহাসাগর অঞ্চলের দেশগুলো যে সমস্যা ও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে, তা মোকাবিলায় কিছু সুপারিশ আসবে- যা এই এলাকার ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’