বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে অনুসরণ করতে চায় পাকিস্তান: শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক |

‘পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দায়িত্ব নেওয়ার পর বলেছেন, আগামী ৫ বছরের মধ্যে দেশটির শিক্ষাব্যবস্থা সুইডেনের মানে উন্নীত করবেন। তার এ পরিকল্পনার জবাবে পাকিস্তানের বিশেষজ্ঞরা ইমরান খানকে বলেছেন, ৫ বছর নয় প্রয়োজনে ১০ বছর সময় নিন, শিক্ষাব্যবস্থাকে বাংলাদেশের মানে উন্নীত করুন’।

দেশের শিক্ষাব্যবস্থার মানের প্রশংসা করতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও বৃত্তিপ্রদান অনুষ্ঠানে একথা বলেন।

ডিআরইউর সদস্যদের মধ্যে যাদের সন্তান ২০১৮ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে তাদেরকে প্রতি বছরের মতো এবারও সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি  ডিআরইউ’র গোলটেবিল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

ডিআরইউ সভাপতি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এবং এসবিএসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নির্বাহী কর্মকর্তা মো. গোলাম ফারুক বিশেষ অতিথি ছিলেন। 

এবার এসএসসি পরীক্ষায় জিপিও-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ ১৭ জন এবং এইচএসসিতে উত্তীর্ণ ৬ জনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। প্রতি শিক্ষার্থীকে একটি ক্রেস্ট, একটি সনদ এবং দুই হাজার করে টাকা দেওয়া হয়।

জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসজিডি) ৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী শিক্ষারমানের প্রতি সরকারের মনোযোগ রয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান এবং আগামী দিনের প্রজন্মকে মানসম্মত শিক্ষার মাধ্যমে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য’।

শিক্ষাব্যবস্থায় কোনো ভুল বা ক্রুটি থাকলে তা ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ভুল হলে বলবেন, আমরা তা স্বাগত জানাই। কেননা আমরা মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা গড়তে চাই। আমরা এগিয়ে যেতে চাই, তাই সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

‘আমি প্রার্থনা করি যে, বর্তমান এবং আগামী প্রজন্ম আরো বড় হোক, আমাদেরকে ছাড়িয়ে যাক’।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুকুর আলী শুভ। উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-সম্পাদক মঈন উদ্দিন, কল্যাণ সম্পাদক কাওছার আযম, ক্রীড়া সম্পাদক আরাফত দাড়িয়া প্রমুখ। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি ১২শ’ শিক্ষার্থীর আতঙ্কে দিন কাটছে - dainik shiksha কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি ১২শ’ শিক্ষার্থীর আতঙ্কে দিন কাটছে বিলেত সফরে শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha বিলেত সফরে শিক্ষামন্ত্রী ডলার সংকটে কঠিন হচ্ছে বিদেশে উচ্চশিক্ষা - dainik shiksha ডলার সংকটে কঠিন হচ্ছে বিদেশে উচ্চশিক্ষা সুপাড়ি চুরির সন্দেহে দুই ছাত্রকে নির্যা*তন - dainik shiksha সুপাড়ি চুরির সন্দেহে দুই ছাত্রকে নির্যা*তন ডক্টরেট ডিগ্রি পেলো বিড়াল - dainik shiksha ডক্টরেট ডিগ্রি পেলো বিড়াল নামী স্কুলগুলোর ফলে পিছিয়ে পড়ার নেপথ্যে - dainik shiksha নামী স্কুলগুলোর ফলে পিছিয়ে পড়ার নেপথ্যে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0039057731628418