আলোচনার তুঙ্গে থাকা শাহরুখ খান অভিনীত ‘পাঠান’ ছবি বাংলাদেশে মুক্তিতে আর বাধা রইল না। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি ছবিটি বাংলাদেশে মুক্তি পাবে বলে জানিয়েছেন ছবিটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্টের কর্ণধার অনন্য মামুন।
গত ২৫ জানুয়ারি ভারতসহ অন্যান্য দেশে মুক্তি পায় সিনেমাটি। এরই মধ্যে হাজার কোটি রুপি আয়ের দ্বারপ্রান্তে ছবিটি। বাংলাদেশেও লেগেছে ‘পাঠান’-এর জনপ্রিয়তার আঁচ। গত মাস থেকে শুরু হয়ে রোববার পর্যন্ত চলছিল ‘পাঠান’ আসবে কি আসবে না তা নিয়ে আলোচনা।
রোবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট নেতাদের বৈঠকের পরে সিদ্ধান্ত হয়েছে শর্ত সাপেক্ষে উপমহাদেশীয় বিদেশি ভাষার সিনেমা আসবে বাংলাদেশে। সেই সূত্র ধরে ‘পাঠান’ মুক্তিতে কোনো বাধা রইল না।
বৈঠকে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদের কাছে সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ উপমহাদেশীয় বিদেশি ভাষার ছবি আমদানির ব্যাপারে একটি চিঠি দিয়েছেন।
বৈঠকে হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘চলচ্চিত্র অঙ্গণের সকল সমিতি এখন ভারতীয় হিন্দি সিনেমা আমদানির বিষয়ে একমত হয়েছে সুতরাং এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে কোনো অসুবিধা নেই।’
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ নেতৃবৃন্দ ‘নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিদেশি (উপমহাদেশীয় ভাষার) চলচ্চিত্র আমদানি ও মুক্তি প্রসঙ্গে’ শিরোনামের চিঠিটি মন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াৎ, শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার ও সদস্য রিয়াজ, প্রদর্শক সমিতির সভাপতি কাজী শোয়েব রশীদ, সহ-সভাপতি মিয়া আলাউদ্দিন, প্রযোজক পরিবেশক সমিতির পক্ষে খোরশেদ আলম খসরু ও মোহাম্মদ হোসেন, ফিল্ম ক্লাবের সভাপতি কামাল মোহাম্মদ কিবরিয়া এবং সম্মিলিত চলচ্চিত্রের পরিষদের সদস্য সচিব শাহ আলম কিরণ উপস্থিত ছিলেন।
সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ তাদের চিঠিতে সরাসরি হিন্দি চলচ্চিত্র উল্লেখ না করলেও পরীক্ষামূলকভাবে দুই বছরের জন্য উপমহাদেশীয় বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র আমদানির প্রস্তাব দিয়েছে। যেখানে প্রথম বছরে ১০টি এবং পরের বছরে ৮টি চলচ্চিত্র আমদানির ও প্রতিবছর ৫২ সপ্তাহের মধ্যে ২০ সপ্তাহ প্রদর্শনের কথা বলা হয়। তবে ঈদ-উল-ফিতর, ঈদ-উল-আযহা ও দুর্গাপূজার সপ্তাহে এগুলো প্রদর্শন করা যাবে না।
এ ছাড়া এ ধরনের প্রতিটি সিনেমা আমদানি সংস্থাকে আলোচনা সাপেক্ষে নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদকে দিতে হবে এবং ছাড়পত্র নিতে হবে। এই অর্থ শিল্পী সমিতির অগ্রাধিকারসহ পরিষদ সদস্যদের কল্যাণে ব্যয় হবে। এ ছাড়াও যৌথ প্রযোজনা নীতিমালা সংস্কার ও শিল্পী সংগ্রহে ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ প্রকল্প চালুর প্রস্তাবনা পত্রে উল্লেখ করা হয়।