ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম দারাজ ভারতীয় উপমহাদেশে ১১ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এক চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি কর্মীদের জানিয়ে দিয়েছে চীনা জায়ান্ট আলিবাবার মালিকানাধীন কোম্পানিটি। এছাড়া দারাজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বিজার্ক মিকেলসেন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, দারাজের সিদ্ধান্ত অনুসারে ছাঁটাইয়ের মুখে পড়তে চলেছেন অন্তত ৩০০ কর্মী। এর মধ্যে বাংলাদেশে ছাঁটাই হচ্ছেন প্রায় ১০০ জন।
জনবল কমিয়ে ফেলার কারণ হিসেবে ‘কঠিন বাজার পরিস্থিতি’কে দায়ী করেছেন দারাজ সিইও। গত সোমবার কর্মীদের পাঠানো চিঠিতে তিনি বলেন, ইউক্রেন সংকট, সরবরাহ ব্যবস্থায় সংকট, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি, উচ্চ কর এবং সরকারি ভর্তুকি কমে যাওয়ার কারণে কর্মী ছাঁটাই করছে দারাজ। সিইও’র চিঠিটি কোম্পানির ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে।
মিকেলসেন রয়টার্সকে বলেন, দারাজের সবচেয়ে বড় বাজার বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। এছাড়া শ্রীলঙ্কা ও নেপালেও তাদের ব্যবসা রয়েছে।
কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ-পাকিস্তান উভয় দেশেই সমান সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই হবে। কারণ উভয় দেশে আমাদের বাজারের আকার সমান।
অর্থাৎ, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান উভয় দেশে অন্তত ১০০ জন করে দারাজের কর্মী ছাঁটাইয়ের শিকার হবেন।
দারাজ পাকিস্তানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এহসান সায়া বলেছেন, পাকিস্তানে আমাদের জনবল ছিল ১ হাজার ৩০০ জন। এর মধ্যে ১১ শতাংশকে ছাঁটাই করা হচ্ছে।
২০১২ সালে পাকিস্তানে প্রতিষ্ঠিত হয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম দারাজ। ২০১৮ সালে কোম্পানিটি অধিগ্রহণ করে চীনা জায়ান্ট আলিবাবা। এর প্ল্যাটফর্মে পাকিস্তানে প্রায় এক লাখ ছোট ও মাঝারি কোম্পানি রয়েছে।
মিকেলসেন বলেন, দারাজ এখন তার মূল ব্যবসা ই-কমার্সে ফের নজর দেবে, কার্যকলাপ সহজ করবে, পণ্যের উদ্ভাবন ও স্বয়ংক্রিয়তা বাড়াবে।
তবে যেসব অঞ্চলে ব্যবসা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেখানে নতুন কর্মী নিয়োগ চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সিইও’র কথায়, দারাজ ‘যতটা সম্ভব খুচরা বিক্রেতাদের ডিজিটালাইজ করায় মনোযোগ দেবে’।
দারাজের কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আলিবাবার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।