বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির নব নির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর তোপখানা রোডে শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে আজ এই অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির নব নির্বাচিত সভাপতি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) বিশেষ প্রতিনিধি ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) যুগ্ম সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার।
শিক্ষকদের কেন্দ্রীয় এই সংগঠন নির্বাচনের মাধ্যমে ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি নির্বাচিত করেছে। প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার শিক্ষক এই সংগঠনের সদস্য।
সারাদেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এই সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। গত ১৫ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংগঠনটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
সরাসরি ভোটের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ক্যাডেট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম সভাপতি, নাটোর সদর উপজেলার ইব্রাহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুস সাত্তার মহাসচিব ও টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি উপজেলার বীর পাকতিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া সংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। নতুন নির্বাচিত তিন শীর্ষ কর্মকর্তা সর্বসম্মতিক্রমে সারাদেশের ১৫১ জন শিক্ষককের সমন্বয়ে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি চূড়ান্ত করেন।
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষা কল্যাণ সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচিত করতে নির্বাচন কমিশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন- মো. হাবিবুর রহমান, সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মো. হাবিবুর রহমান ভুইঁয়া।
কমিটির অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন- চাপাইনবয়াবগঞ্জ গোমস্তাপুর রহনপুর পৌরসভার পিড়াশুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মহাম্মদ সাদেকুল ইসলামকে সিনিয়র সহসভাপতি, হবিগঞ্জ চুনারুঘাট পাকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমান (বাহার) ও চট্টগ্রাম সাতকানিয়ার উত্তর ছদাহা সরাসরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস, এম ইছহাককে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, কুমিল্লা তামতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কামরুল আহসান নকিব অর্থ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন।
আজ অভিষেক অনুষ্ঠানে নতুন কমিটি ছাড়াও বিভিন্ন ও জেলা প্রতিনিধিরাও অংশ নেন।
শিক্ষক নেতৃবৃন্দ নতুন কমিটিকে বরণ করে তাদের বিদ্যমান সমস্যা ও বৈষম্য নিরসনে ঐক্যবদ্ধ থেকে আগামীর লড়াই পরিচালনার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় দিদারুল আলম দিদার বলেন, শিক্ষকরা জাতি গঠনের কারিগর। শিক্ষার্থীর মানবতাবোধ কে জাগ্রত করে একজন শিক্ষক কেবল পাঠদানকে সার্থকই করে তোলেন না, পাশাপাশি দেশের উন্নয়নকে ত্বরাণ্বিত করেন। স্বীয় জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করে তাদেরকে দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলেন। একটি শিশু বেড়ে ওঠায় পিতা-মাতা পরিবারের পর শিক্ষকের ভূমিকা সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ।
দিদার বলেন, দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সরকারি সুবিধা ও তাদের মর্যাদার ক্ষেত্রে কিছু অসংগতি ও বৈষম্য রয়েছে। জাতির বৃহত্তর স্বার্থে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শিক্ষকদের এই সমস্যা সমাধান করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সূত্র: বাসস