বাকি এক হাজার কোটি টাকা দিতে গ্রামীণফোনের সময় তিন মাস

নিজস্ব প্রতিবেদক |

বাকি এক হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) দিতে তিন মাস সময় পেয়েছে গ্রামীণফোন।

আদালতের নির্দেশ মেনে দুই হাজার কোটি টাকার মধ্যে এক হাজার কোটি টাকা গতকাল রোববার বিটিআরসিকে দেয় গ্রামীণফোন। এই তথ্য জানিয়ে বাকি অর্থ দিতে গ্রামীণফোনের আইনজীবীর সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে তিন মাস সময় দেন আপিল বিভাগ। 

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ আজ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এই আদেশ দেন। আদালতে গ্রামীণফোনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও মো. মেহেদী হাসান চৌধুরী। বিটিআরসির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন খন্দকার রেজা-ই রাকিব।

পরে মেহেদী হাসান চৌধুরী বলেন, বাকি এক হাজার কোটি টাকা দিতে গ্রামীণফোনকে তিন মাস সময় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। নিরীক্ষা পাওনা দাবি নিয়ে করা মামলাটি (নিম্ন আদালতে থাকা) নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের দেয়া নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে গ্রামীণফোন যাতে নির্বিঘ্নে ব্যবসা করতে পারে, সে বিষয়টি নিশ্চিতের কথা বলেছেন সর্বোচ্চ আদালত।

গত বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের সাত সদস্যের আপিল বিভাগ সোমবারের (২৪ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে বিটিআরসিকে এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। 

একই সঙ্গে আজই গ্রামীণফোনের পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) আবেদনের ওপর আদেশের জন্য দিন ধার্য রেখেছিলেন আপিল বিভাগ। এরপরই গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিটিআরসিকে এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করবে।

গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে  রোববার চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বিটিআরসিতে গিয়ে এক হাজার কোটি টাকার পে-অর্ডার কমিশনের চেয়ারম্যান জহুরুল হকের কাছে হস্তান্তর করে।

গত বছরের ২৪ নভেম্বর দেশের সর্বোচ্চ আদালত বিটিআরসির নিরীক্ষা দাবির ১২ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ২ হাজার কোটি টাকা তিন মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে সময় বেঁধে দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন : বিটিআরসিকে এক হাজার কোটি টাকা দিল গ্রামীণফোন

জানা গেছে, গ্রামীণফোনের কাছে বিটিআরসি পাওনা বাবদ ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা দাবি করলে বিরোধের সৃষ্টি হয়। গ্রামীণফোনের ওপর ১৯৯৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত নিরীক্ষা করে এই পাওনা নির্ধারণ করা হয়। পাওনার মধ্যে রয়েছে রাজস্বের ভাগাভাগি, কর ও অন্যান্য খাত। তবে প্রথম থেকেই গ্রামীণফোন এই দাবি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিল।

পাওনা আদায় ও বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গত অক্টোবরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সমঝোতার উদ্যোগ নিলেও তা ব্যর্থ হয়। ওই বৈঠকে তখন কয়েকটি প্রস্তাব পেশ করা হয়। এগুলো হচ্ছে দুই পক্ষ একটি কমিটি গঠন করে পাওনা পরীক্ষা অথবা পরীক্ষার পদ্ধতি বের করা, বিটিআরসির লাইসেন্স বাতিলের কারণ দর্শানোর নোটিশ ও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা, অপারেটরদের মামলা প্রত্যাহারের পদক্ষেপ নেওয়া, কমিটির কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে রাখা ইত্যাদি। তবে শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশ মানল গ্রামীণফোন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা - dainik shiksha মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা - dainik shiksha দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0026412010192871