‘সরকার দলীয় সংগঠনের নাম ব্যবহার করে কতিপয় বামপন্থি শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন। তারা গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের নাম ব্যবহার করে আসছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন।'
গত বুধবার বাকৃবির শিক্ষক কমপেস্নক্সে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের একাংশ (ডক্টর হাদী ও ডক্টর রমিজের নেতৃত্ব ফোরাম)। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফোরামের ওই পক্ষটিকে 'গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম' নামক দলীয় নামটি ব্যবহার না করারও দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ডক্টর মো. আবু হাদী নূর আলী খান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডক্টর মো. রমিজ উদ্দিন, অধ্যাপক ডক্টর এমএ সালামসহ সংগঠনটির শতাধিক শিক্ষক।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামটি আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের একটি সংগঠন। কিন্তু সম্প্রতি ছাত্র জীবনে ছাত্রফ্রন্ট ও ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে জড়িত থাকা কিছু শিক্ষক ওই সংগঠনে যুক্ত হয়ে বিভক্তি সৃষ্টি এবং সংগঠনটির নাম ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্টের অপচেষ্টা করছে। সংগঠনটিকে কলুষিত করতে এই সংগঠনের নাম উলেস্নখ করে বিভিন্ন সময় বিবৃতি, সংবাদ সম্মেলনসহ বিভিন্ন অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। মুখে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা বললেও অন্তরে বামপন্থি রাজনীতিই লালন করে তারা। সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের একাংশের সভাপতি অধ্যাপক ডক্টর মো. আবু হাদী নূর আলী খান বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের নাম ব্যবহার করে ওই পক্ষটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও তারা বিপুল ভোটে পরাজিত হয়ে আসছে। তাদের মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তাদের মধ্যেও বিভাজন তৈরি করেছে। আগামী মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের অষ্টম সমাবর্তনকে সামনে রেখে তারা বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পরিকল্পনা করছে। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডক্টর রমিজ উদ্দিন বলেন, তাদের এ প্রচেষ্টা বন্ধ করতে উপাচার্য ও সিন্ডিকেট সদস্যদের কাছে সহযোগিতা চান।