বাকৃবির দেওয়ালে মেসি-নেইমারের ছবি আঁকলেন শিক্ষার্থীরা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি |

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফজলুল হক হলের দুই শিক্ষার্থী দেওয়ালে এঁকেছেন ফুটবলের কিংবদন্তি আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি ও ব্রাজিলের নেইমারের প্রতিকৃতি। এতে প্রশংসায় ভাসছেন তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়ালজুড়ে মেসি-নেইমারের ছবি। পাশেই রয়েছে দুই দেশের পতাকা। ১০ ফুট উচ্চতার দেওয়ালগ্রাফিটি কালো, সাদা, আকাশী নীলের সঙ্গে হলুদ ও লাল রঙের ছোঁয়ায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইমরান দুদিনে সম্পূর্ণ ছবিটি এঁকেছেন।

নেইমারের প্রতিকৃতিটি উচ্চতায় ৫ ফিট ৬ ইঞ্চি। সাদা, কালো, নীল, হলুদ, লাল রঙের মিশ্রণে নেইমারের প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তুলেছেন কৃষি প্রকৌশল অনুষদের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রিদম। সহায়তা করেছেন একই অনুষদের কিরণ মাহমুদ। প্রতিকৃতি অঙ্কনে সময় লেগেছে প্রায় ১৫ ঘণ্টা। 

ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই হলে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা দলের সমর্থক বেশি। দুই দলের সমর্থকরাই খেলার সময় কমনরুমে একসঙ্গে খেলা দেখেন। কমনরুমে দেওয়ালে মেসির প্রতিকৃতি অঙ্কন করেছেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান বিন ইউনুস ও নেইমারের প্রতিকৃতি অঙ্কন করেছেন কৃষি প্রকৌশল অনুষদের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রিদম।

একই হলের শিক্ষার্থী ব্রাজিলের সমর্থক আনোয়ার কবির সিফাত বলেন, এ হলে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থক বেশি। হলে উঠার আগে বাড়িতে খেলা দেখতাম। তবে এখানে ওঠার পর সিনিয়রদের সঙ্গে খেলা দেখি। নেইমার আমার পছন্দের ফুটবলার। আমরা আশাবাদী এবার ব্রাজিল বিশ্বকাপ জিতবে।

ওই হলের আর্জেন্টিনার সমর্থক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, হলে আসার পর এটাই আমার প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপ। খেলার সময় সিনিয়র জুনিয়র সবাই আনন্দ করে খেলা দেখি। এটাই আমার পছন্দের ফুটবলার মেসির শেষ বিশ্বকাপ। আমাদের প্রত্যাশা আর্জেন্টিনা এবার চ্যাম্পিয়ন হবে।

এ বিষয়ে ইমরান বিন ইউনুস বলেন, মেসি একটা আবেগের নাম, আর সেই মেসির ছবির গ্রাফিতি তৈরি করেছি। শেষ হওয়ার পর দেখে মনে হলো পরিশ্রম সার্থক হলো। সব পরিশ্রমের কথা ভুলে গেলাম।

নেইমারের প্রতিকৃতি অঙ্কন করেছেন মেহেদী হাসান রিদম। তিনি বলেন, ছোট থেকেই গ্রাফিতির প্রতি আগ্রহ ছিল। তবে তেমনভাবে কোনো সময়ই ছবি আঁকা হয়নি। এবার বিশ্বকাপে সবাই তার পছন্দের দলের জন্য কেউ পতাকা।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষার্থীরা যাতে পিছিয়ে না থাকে তা নিশ্চিত করতে চাই : শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষার্থীরা যাতে পিছিয়ে না থাকে তা নিশ্চিত করতে চাই : শিক্ষামন্ত্রী ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণের দাবি - dainik shiksha ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণের দাবি প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ফল ১০ কার্যদিবসের মধ্যে - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ফল ১০ কার্যদিবসের মধ্যে বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছি: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছি: প্রধানমন্ত্রী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮ শতাংশ স্নাতক বেকার - dainik shiksha জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮ শতাংশ স্নাতক বেকার সরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদনে জালিয়াতি - dainik shiksha সরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদনে জালিয়াতি বিইউপির ভর্তি পরীক্ষা ১৯-২০ জানুয়ারি - dainik shiksha বিইউপির ভর্তি পরীক্ষা ১৯-২০ জানুয়ারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: পাঁচ মিনিটেই কেন্দ্রের বাইরে যায় প্রশ্ন - dainik shiksha শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: পাঁচ মিনিটেই কেন্দ্রের বাইরে যায় প্রশ্ন টাইম আউটে আটকে গেলো ৪ পরীক্ষার্থীর শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন - dainik shiksha টাইম আউটে আটকে গেলো ৪ পরীক্ষার্থীর শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন বিয়ের পরদিন কেন্দ্রে এসেও পরীক্ষা দেয়া হলো না তমার - dainik shiksha বিয়ের পরদিন কেন্দ্রে এসেও পরীক্ষা দেয়া হলো না তমার please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0052471160888672