বাজেট বক্তৃতায় প্রাথমিক শিক্ষা খাতে ২৪ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। কিন্তু বক্তৃতায় প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণ এবং প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড প্রদানের বিষয়ে সুস্পষ্ট তথ্য দেয়া হয়নি। তাই বাজেটে বরাদ্দ খাতগুলোর স্পষ্টীকরণের আহ্বান জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ। রোববার (১৬ জুন) এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান সমিতির নেতারা।
বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে গত আমল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা খাতে বিরাজমান সমস্যাগুলোর সমাধানের আশ্বাস দেয়া হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরেই প্রাথমিকের শিক্ষকেরা এ আন্দোলন করেছেন। প্রাথমিকের সমস্যা সমাধানে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের অঙ্গীকারের কথাও স্মরণযোগ্য। আশা করেছিলাম এ বাজেট প্রস্তাবে সমস্যা সমাধানে সুস্পষ্ট প্রতিফলন ও ঘোষণা থাকবে। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূরীকরণের কোনো ঘোষণা বাজেটে দেয়া হয়নি। প্রাথমিক শিক্ষায় বরাদ্দ করা টাকার খাত সম্পর্কে সুস্পষ্ট কোনো তথ্য বাজেট বক্তৃতায় উল্লেখ করা হয়নি। সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসায় শিক্ষকরা দ্বিধাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। তাই বাজেটে প্রাথমিক শিক্ষায় বরাদ্দে খাত স্পষ্টীকরণের দাবি জানিয়েছেন সমিতির নেতারা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শিক্ষকদের ন্যায়সঙ্গত সমস্যা সমাধানে বাজেটের টাকা থেকে প্রাথমিকের শিক্ষকদের বেতন বৈষম্যে দূরীকরণে কতটুকু বরাদ্দ দেয়া হবে এবং কোন সময় থেকে তা বাস্তবায়ন হবে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিলে প্রাথমিকের ৫ লাখ শিক্ষক দ্বিধাগ্রস্ততা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন বঙ্গবন্ধু প্রাথমিকের শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের আহ্বায়ক মো. সিদ্দিকুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. গোলাম মোস্তফা, সদস্য সচিব সুব্রত রায়, ঢাকা মহানগর কমিটির আহ্বায়ক এম এ ছিদ্দিক মিয়াসহ পরিষদের অন্যান্য নেতারা।