জাতীয় সংসদে আজ বুধবার বসছে বাজেট অধিবেশন। বিকেল পাঁচটায় অধিবেশন আহ্বান করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এটি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশন এবং প্রথম বাজেট অধিবেশন।
এর আগে সংসদ সচিবালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় দেয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এই অধিবেশন আহ্বান করেছেন।
সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, আগামীকাল ৬ জুন আগামী অর্থবছরের বাজেট সংসদে পেশ করা হবে। সাধারণত বাজেট অধিবেশন দীর্ঘ হয়। প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনা করবেন সংসদ সদস্যরা।
জানা গেছে, চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট বাস্তবায়নাধীন। এর মধ্যে পরিচালনসহ অন্যান্য ব্যয় ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ব্যয় ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। আগামী ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি ব্যয় বরাদ্দ রেখে বাজেট পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে বলে কয়েকজন কর্মকর্তা ইঙ্গিত দিয়েছেন।
অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের মূল বরাদ্দ থেকে বাড়িয়ে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকি ও প্রণোদনা বাবদ বরাদ্দের প্রস্তাব ১ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা করার পরিকল্পনা করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ।
অবশ্য চলতি অর্থবছরে ভর্তুকি ও প্রণোদনা বাবদ সংশোধিত বাজেট বরাদ্দ ৯৮ হাজার কোটি টাকাকে ভিত্তি ধরলে এই বৃদ্ধি হতে পারে অন্তত ১৪ হাজার কোটি টাকা।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাড়ছে ভর্তুকি ও প্রণোদনার পরিমাণ। অর্থাৎ বছর ঘুরলেই ভর্তুকি ও প্রণোদনা বাবদ বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি যে অনেকটা নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে, এবারো তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।
গত ১৩ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তার কার্যালয়ে বাজেটের সর্বশেষ প্রস্তুতি তুলে ধরে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা নেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। পরদিন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা কর রাজস্বসহ অন্যান্য সম্পদ আহরণের পরিকল্পনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে যান।
প্রধানমন্ত্রী বাজেট পরিকল্পনা নিয়ে কী নির্দেশনা দিয়েছেন জানতে চাইলে কিছুদিন আগে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছিলেন, সামগ্রিকভাবে বলা যায়, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রপ্তানিপণ্যের বৈচিত্র্যকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও প্রান্তিক মানুষের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি এবারের বাজেটের অগ্রাধিকারে থাকবে।