পটুয়াখালীর কলাপাড়ার বাবার সঙ্গে অভিমান করে প্রকাশ্যে দিনের বেলা বসতঘর পুড়িয়ে দিয়েছে ছেলে রুবেল ফরাজী। এ সময় প্রতিবেশীরা আগুন নেভাতে এগিয়ে এলেও তাদের বাধা দেয় সে। এমনকি আগুন নেভাতে এলে নিজের গলায় চাকু ধরে আত্মহননের হুমকি দেন। রোববার বেলা ১১টার পর লালুয়া ইউনিয়নের চর চান্দুপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আগুন দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আধাকাঁচা টিনশেড ঘরের পুরোটাই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। যদিও এ নিয়ে বাবা রিপন ফরাজী বা ছেলে রুবেল ফরাজী কোনো পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেনি।
লালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বিশ্বাস ও রুবেল ফরাজীর স্বজনরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, পেশায় জেলে রুবেল তার স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ওই বাড়িতেই বাবার সঙ্গে থাকতেন। সম্প্রতি জমি অধিকরণের কিছু টাকা জমি কেনার জন্য বাবা রিপন ফরাজীর কাছে গচ্ছিত রেখেছিলেন রুবেল। কিন্তু বাবা জমি না কিনে উল্টো তার সঙ্গে টাকা টালবাহানা করে। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠকও হয়। কিন্তু সালিশে টাকা না দিয়ে উল্টো তার কাছে আরো টাকা দাবি করা হয়। এ ঘটনায় বাবার সঙ্গে অভিমান করে নিজের ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় রুবেল ফরাজী। এতে ঘরে থাকা কয়েক লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
গ্রামবাসীরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, তারা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু রুবেল আগুন নেভাতে এলে নিজের গলা চাকু দিয়ে কেটে ফেলবে বলে ভয় দেখায়। এ কারণে গ্রামবাসী আগুন নেভাতে যেতে সাহস পায়নি। তাদের চোখের সামনে মুহূর্তের মধ্যে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ঘরটি।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জসিম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, তারা বিষয়টি শুনেছেন। কিন্তু ঘর পোড়ার ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি। তবুও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।