নেত্রকোনার বারহাট্টার স্কুলছাত্র পিয়াস মিয়া হত্যা মামলার অন্যতম আসামি নাজমুলকে (২৩) গ্রেফতার করেছে সিআইডি পুলিশ। শুক্রবার (৫ অক্টোবর) চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার দুর্গম অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মতিউর রহমানের নির্দেশে এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার ছাইদ আহম্মদের তত্ত্বাবধানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সিআইডি জেলার উপ-পরিদর্শক প্রীতেশ তালুকদারের নেতৃত্বে নাজমুলকে গ্রেফতার করা হয়।
সিআইডি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানার দুর্গম অঞ্চলের জনৈক রফিক মিয়ার সোনালি ইটখলায় ক্রেতা সেজে অভিযান চালিয়ে নাজমুলকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে নেত্রকোনায় নিয়ে আসা হয়। নাজমুল জেলার বারহাট্টা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের চল্লিশ কাহ্নীয়া হাফিজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির মেধাবী ছাত্র ও বারহাট্টার কর্ণপুর গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে পিয়াস মিয়া হত্যাকান্ডের অন্যতম আসামী।
সিআইডি নেত্রকোনা জেলার উপ-পরিদর্শক প্রীতেশ তালুকদার জানান, স্কুলছাত্র পিয়াস হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত আসামি নাজমূলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, জেলার বারহাট্টা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের কর্ণপুর গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে পিয়াস মিয়া গত ২৫ আগস্ট রাত ৯টার দিকে স্থানীয় ফকিরের বাজারে একটি দোকানে বসে গল্প করার সময় তারই বন্ধু পাশ্ববর্তী কান্দাপাড়া গ্রামের ফয়জুর রহমানের ছেলে রুবেল মিয়া তার বোনের গায়ে হলুদের কথা বলে ডেকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। রাত সাড়ে ১২ টার দিকে কান্দাপাড়া গ্রামের স্থানীয় লোকজন পিয়াসকে অজ্ঞান অবস্থায় প্রথমে ফকিরের বাজারে পরে নেত্রকোনা এবং রাত তিনটার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরদিন পিয়াসের বাবা খোরশেদ মিয়া বাদী হয়ে নয়জনকে আসামি করে বারহাট্টা মামলা দায়ের করেন। পিয়াসের হত্যাকান্ডের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠে এলাকা। খুনীদের গ্রেফতার এবং বিচারের দাবীতে এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে বিদ্যালয়ের শিক্ষক সহপাঠিসহ এলাকাবাসী। মামলাটি কিছুদিন পর সিআইডির কাছে ন্যাস্ত করা হয়।