বাল্যবিয়ে হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরানোর চেষ্টা করছি : শিক্ষামন্ত্রী

গাজীপুর প্রতিনিধি |

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, করোনা অতিমারির কারণে কিছু প্রত্যন্ত অঞ্চলে দেখা গেছে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বাল্যবিয়ে বেশি হয়েছে। সেই জায়গায় আমরা চেষ্টা করছি, সেই বাল্যবিয়ে হয়ে যাওয়া মেয়েদের আবার ক্লাসে ফিরিয়ে আনতে আমরা কাজ করছি। তারা অনেকেই স্থানান্তরিত হয়ে গেছে। অতিমারির কারণে এক শহর থেকে আরেক শহরে বা শহর থেকে গ্রামে চলে গেছে। স্থানান্তরিত হলেও তারা যেখানেই আছে সেখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতে তারা ক্লাসে অংশগ্রহণ করেন সেজন্য আমরা চেষ্টা করছি।

বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে গাজীপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভার্চুয়াল ওরিয়েন্টশন প্রোগ্রাম উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এসময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অধ্যাপক মো. মশিউর রহমান, রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল -হোসেনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। 

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, এ মুহুর্তে আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাসের সংখ্যা বাড়াতে পারছি না। নতুন বছর শুরু হলে এবং তখন সংক্রমণ আরও কমে গেলে আমরা আশা করছি ক্লাসের সংখ্যা বাড়াতে পারবো। এখন যে অবস্থা আছে তাতে সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর ক্ষেত্রে অভিভাবকরা যে পুরোপুরি স্বস্তিতে আছে, তা নয়। সে কারণে স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার কোথাও কোথাও কম আছে। আস্তে আস্তে যখন সব ক্লাস শুরু হবে তখন আবার তাদের উপস্থিতি বাড়বে, এটা নিশ্চিত। করোনাকালে কিছু শিক্ষার্থী হয়তো ঝরে গেছে। করোনা অতিমারিতে কতটা আসলে ঝরে গেছে এবং কি কারণে ঝরে গেছে সেটা আমাদের নিরূপণ করতে হবে। সেটা নিয়ে আমরা এখনই কাজ করছি। 

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আরও কিছুদিন গেলে আমরা বুঝতে পারবো। সত্যিকার অর্থে কতজন ঝরে পড়েছে। আর কতজন করোনা অতিমারির কারণে কিংবা ঋতু পরিবর্তনজনিত অসুস্থতার কারণে হয়তো ক্লাসে উপস্থিতির হার কম। আর কিছুদিন গেলে আমরা বুঝতে পারবো সত্যিকার কোন কারণে কতজন ক্লাসে আসছে না কিংবা কতজন আসলে ঝরে গেছে। তখন প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের পক্ষে স্প্যাসিফিক ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হবে। আমরা এ বিষয়টি দেখছি। 

অনার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ সিদ্ধান্ত শুধু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপর নির্ভর করে না। তাদের এমপিওভুক্তির বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাদের ব্যাপারে আমরা এ মুহুর্তে কোন সুখবর দিতে পারছি না। তবে এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি।    

এছাড়া একইদিন বিকেলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কবুতর ও বেলুন উড়ানো, কেক কাটা এবং আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, উপাচার্য অধ্যাপক মো. মশিউর রহমান। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অংশ নেন। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গানে অংশ নেন বিশিষ্ট কণ্ঠ শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা এবং ঢাকার সরকারি সঙ্গীত কলেজ সুরের ধারা কলেজ অব মিউজিকের শিল্পীরা।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ষষ্ঠ-নবম শ্রেণিতে ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সূচি - dainik shiksha ষষ্ঠ-নবম শ্রেণিতে ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সূচি শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ অষ্টম পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষায় সরকারকে সহযোগিতা করবে ইউএনএফপিএ - dainik shiksha অষ্টম পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষায় সরকারকে সহযোগিতা করবে ইউএনএফপিএ ইসরায়েলকে বোমা পাঠানো বন্ধ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র - dainik shiksha ইসরায়েলকে বোমা পাঠানো বন্ধ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র ভুইফোঁড় শিক্ষক সমিতি নেতাদের এমপিও বাতিল হতে পারে - dainik shiksha ভুইফোঁড় শিক্ষক সমিতি নেতাদের এমপিও বাতিল হতে পারে শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের জাপান টিকিট ৩০ লাখ! - dainik shiksha ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের জাপান টিকিট ৩০ লাখ! জাল সনদধারী শিক্ষকের এমপিও বাতিল - dainik shiksha জাল সনদধারী শিক্ষকের এমপিও বাতিল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.005579948425293