তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ ঢাকায় পাকিস্তানিরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে, তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ করেছিল। আর এই ১০ তারিখেও বিএনপি ও অগ্নিসন্ত্রাসীরা ঢাকার বুকে আত্মসমর্পণ করবে, যেভাবে পাকিস্তানিরা আত্মসমর্পণ করেছিল।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকেই স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। সেজন্য এই ময়দান বিএনপির পছন্দ না। তারা ঢাকা শহরে গণ্ডগোল করতে চায়।
আজ রোববার দুপুরে চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের প্রাক্কালে দেওয়া বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী সভায় সভাপতিত্ব করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, আজ সমগ্র চট্টগ্রাম শহরে মানুষের ঢেউ জেগেছে। সমুদ্রপাড়ের চট্টগ্রামের সঙ্গে যেন জনতার ঢেউ একাকার হয়ে গেছে। আর পলোগ্রাউন্ডে রঙবেরঙের বর্ণিল ছটা যেন আজকে রংধনুর ছটায় পরিণত হয়েছে। এই জনসভায় যত না মানুষ তার চেয়ে আট-দশগুণ, লক্ষ লক্ষ মানুষ সভাস্থলের বাইরে অবস্থান করছে।
তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বে এই চট্টগ্রাম বদলে গেছে। কয়েকদিন পরেই আমাদের নেত্রী দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশে প্রথম রোড টানেল উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে তিনি ভৌত কাজের সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে চট্টগ্রামের উন্নয়ন তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম আজকে বদলে গেছে। 'বে টার্মিনাল' করে চট্টগ্রাম বন্দরের দ্বিগুণ আরেকটি বন্দর নির্মিত হতে যাচ্ছে। কুতুবদিয়ায় গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণকাজ প্রায় শেষ হয়ে গেছে। কদিন আগে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন চট্টগ্রামে মেট্রোরেল হবে, পাতাল দিয়ে রেল চলবে। গত ১৪ বছরে লক্ষ কোটি টাকার বেশি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এই চট্টগ্রামে হয়েছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যে আরও লক্ষ কোটি টাকার উন্নয়ন এই চট্টগ্রামে হবে। সীতাকুণ্ড-মিরসরাই নিয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর ও অর্থনৈতিক অঞ্চল হতে যাচ্ছে, সেটি আরেকটি চট্টগ্রাম শহর হতে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রাম বদলে গেছে, বাংলাদেশ বদলে গেছে। আজকে খালি পায়ে মানুষ দেখা যায় না, ছেঁড়া কাপড় পরা মানুষ দেখা যায় না। আকাশ থেকেও কুঁড়েঘর খুঁজে পাওয়া যায় না। এটি কোনো জাদুর কারণে হয়নি, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে হয়েছে। বিএনপি আর তার দোসরদের এগুলো ভালো লাগে না।