বরিশাল সরকারি বিএম (ব্রজমোহন) কলেজের সদ্য নিয়োগ পাওয়া উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ফাতেমা হেরেনকে যোগদানে বাধা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার (৬ অক্টোবর) তিনি কলেজে যোগদান করবেন এমন খবরে প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে অধ্যক্ষের মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা।
সকালে ওই বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু হয়। পরে ঘণ্টাব্যাপী প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে রাখেন বিক্ষোভকারীরা৷ এ সময় বাইরে থেকে কেউ ভিতরে প্রবেশ করতে পারেনি। পরবর্তীতে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি দেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ অধ্যাপক ফাতেমা হেরেন সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলো। তিনি আওয়ামী লীগপন্থী বরিশালের সাবেক মেয়র ও সাবেক সংসদ সদস্যদের সঙ্গে প্রকাশ্যে যোগাযোগ রক্ষা করতেন। একই সঙ্গে তিনি ছাত্রদের আন্দোলনের সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর বিরোধিতা করে বিভিন্ন পোস্ট করেছেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিএম কলেজের সমন্বয়ক সাব্বির আহমেদ বলেন, অধ্যাপক ফাতেমা হেরেন সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলো। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছেন প্রকাশ্যে। তিনি ইসলাম বিরোধী বিভিন্ন পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিয়েছেন। বনমালী গাঙ্গুলিতে সুপার থাকাকালীন তার স্বেচ্ছাচারিতার চরম আকার ধারণ করেছিলো। এ কারণে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তিনি পদত্যাগ করেন সেখান থেকে। তাকে পুনরায় বিএম কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে যেটা সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানছে না।
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থী সুবর্ণা খানম বলেন, ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানকালীন বিতর্কিত ভূমিকা রাখা কোন শিক্ষক বিএম কলেজের উপাধ্যক্ষের আসনে বসতে পারেন না। আমরা সরকারি এমন সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং শিক্ষা উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যেনো দ্রুত তার নিয়োগ বাতিল করা হয়।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের ব্যাপারে অধ্যাপক ফাতেমা হেরেন বলেন, আমি শিক্ষকতা করি এবং সরকারের সব বিধিনিষেধ মেনে চলেছি। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কেউ ভুল বুঝাচ্ছে। তাই তারা না বুঝে এ আন্দোলন করছে।
কলেজ অধ্যক্ষ ড. শেখ মো. তাজুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, শিক্ষার্থীরা দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ শেষে আমার কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়ে গেছেন। আমি সেটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করবো।