বিকাশে বছরে ১ কোটির বেশি বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

লাইনে দাঁড়িয়ে বিদ্যুৎ বিল দিতে গিয়ে তিনবার মোবাইল-মানিব্যাগ খুইয়েছিলেন নোয়াখালীর মান্নান নগরের বাসিন্দা নেছার আহমেদ। তবে এখন আর সে ঝক্কি নেই তার। কারণ গত এক বছর ধরে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আর বাড়ির পল্লী বিদ্যুতের বিল তিনি বিকাশের মাধ্যমেই পরিশোধ করেন সুবিধামত দিনে-রাতে যে কোন সময়ে।

সময় নষ্ট করে লাইনে দাড়িয়ে না থেকে সাশ্রয়ে নিজের সুবিধাজনক জায়গা থেকে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের সুযোগ থাকায় নেছার আহমেদের মত সারাদেশের লাখ লাখ গ্রাহক এখন বিকাশে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করছেন।

২০১৮ -এর জুলাই মাসে উদ্বোধনের পর থেকে ২০১৯ এর জুন পর্যন্ত এক বছরে ১ কোটি ১৬ লাখ ৮২ হাজার বিদ্যুৎ বিল বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধ করেছেন বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলোর গ্রাহকগণ। টাকার অংকে যার পরিমাণ ছিল সাড়ে ৬শ’ কোটি টাকারও বেশি।

নোয়াখালি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, সুধারাম-১ এর একজন কর্মকর্তা জানান, তাদের এই কেন্দ্রের ৩০ শতাংশ গ্রাহক এখন বিকাশের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করছেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের এই সমিতির আওতাভুক্ত অনেক চর এলাকার গ্রাহক আছেন, তাদের জন্য বিকাশে বিল পরিশোধ যেন আশীর্বাদ। সময় এবং কষ্ট করে দূর-দুরান্ত থেকে এসে বিল দেয়ার ভোগান্তি যেমন দূর হয়েছে তেমনি যাতায়াত খরচও সাশ্রয় হয়েছে।

গ্রাহক সংখ্যার ভিত্তিতে সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ বিতরণ প্রতিষ্ঠান পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, উত্তরাঞ্চলের নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো) এবং ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানী লিমিটেড (ডেসকো) এর গ্রাহকগণ বর্তমানে বিকাশের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার সেবা পাচ্ছেন। 

গ্রাহক তার নিজের বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করেই বিলের পরিমাণ চেক করতে পারেন এবং বিল পরিশোধ করতে পারেন। বিকাশ অ্যাপ অথবা *২৪৭# ডায়াল করে বিল পরিশোধ করা যায়। একজন গ্রাহক মাসে সর্বোচ্চ দুটি বিল বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারেন। 

নেসকোর গ্রাহক রাজশাহী শহরের বিনোদপুর এলাকার বাসিন্দা, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান জানান, নিজের বাড়ীর সব ধরনের ইউটিলিটি সেবার বিল পরিশোধ নিজেই করেন। এতদিন ব্যাংকে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে তার তিনতলা বাড়ির সবগুলো বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হত। কখনও কখনও ২ থেকে ৩ ঘন্টা লাইনে দাঁড়াতে হত। এখন এসব ঝামেলা এড়াতে তিনি বিকাশে বিল পরিশোধ করছেন। এতে তার সময় যেমন বাঁচে তেমনি খরচও কমে।

বিকাশের চিফ কর্মাশিয়াল অফিসার মিজানুর রশীদ বলেন, বিদুৎ বিল দেওয়ার সঙ্গে বিড়ম্বনা শব্দটির কোনো যোগাযোগ থাকবে না- সেই লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে বিকাশ। দেশের সবগুলো বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানীর আওতাভুক্ত গ্রাহক যেন তাদের ঘরে বসেই বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের সুযোগ পান সেদিকেই এগিয়ে চলেছি আমরা। ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্শীবাদ ব্যবহার করে একটি অ্যাপেই গ্রাহকের সব ধরনের বিল পেমেন্টের সুযোগ তৈরি করে তাদের জীবনকে আরো সহজতর করাই আমাদের উদ্দেশ্য। 

জয়পুরহাট জেলার ভগবানপুর খামারি রেজাউল করিম বলেন, একটা সময় বছরের পর বছর অপেক্ষা করে বিদ্যুতের সংযোগ পাওয়া যেত না। এখন ঘরে বসেই বিদ্যুৎ সংযোগ মিলছে। আর সেই বিদ্যুতের মত জরুরি সেবার বিল মোবাইলের মাধ্যমে দিতে পারায় সত্যিকার অর্থেই জীবন অনেক সহজ হয়েছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা - dainik shiksha মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা - dainik shiksha দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0024890899658203