বিচার বিভাগে সততার পুরস্কার পেলেন সাউদ হাসান

নিজস্ব প্রতিবেদক |

টাঙ্গাইলের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাউদ হাসান প্রধান বিচারপতি পদক লাভ করেছেন। সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করায় তাকে এই পুরস্কার দেয়া হয়। তিনি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সমমর্যাদার বিচারকগণের মধ্যে ‘প্রধান বিচারপতি পদক-২০২২ প্রাপ্ত হন। সংবিধান ও সুপ্রিম কোর্টের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে  রোববার এই পুরস্কার প্রদান করা হয় তাকে।

সাউদ হাসান গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের মরহুম আলহাজ আব্দুল ওয়াদুদ মোল্লা ও মিসেস আনোয়ারা বেগমের সর্ব কনিষ্ঠ সন্তান। তিনি আড়পাড়া ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি এবং  ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে এলএলবি (অনার্স), এলএলএম (প্রথম শ্রেণি) ডিগ্রি অর্জন করেন এই বিচারক। পরবর্তীতে তিনি আইসিআরসি স্কলারশিপ প্রাপ্ত হন এবং ভারতের নালসার ইউনিভার্সিটি অব ল’ হতে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনে পিজিডিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন সাউদ হাসান। তিনি আইন, বিচার, মানবাধিকার ও আইন গবেষণার উপর দেশে- বিদেশে প্রায় ৪৮টি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছেন। সাউদ হাসান আইন বিষয়ে তিনটি পেশাগত বইয়ের রচয়িতা এবং দেশি-বিদেশি আইন জার্নালে এ যাবৎ তার ৬টি আর্টিকেল প্রকাশিত হয়েছে।

তিনি ঢাকা জজ কোর্ট এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে তালিকাভুক্ত আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস করেছেন। আইন বিষয়ে অধ্যাপনা করেছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও। তিনি তৃতীয় বিজেএস পরীক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসে ২০০৮ সালের ২২শে মে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে রাজবাড়ী জেলায় যোগদান করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন জেলায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদে সততা, সুনাম ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

টাঙ্গাইলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদান করার পরে বিচারপ্রার্থী জনগণের বিচারিক সেবার মান উন্নয়ন, আদালতের সার্বিক পরিবেশের উন্নয়ন সাধন, স্বল্প সময়ে অধিকসংখ্যক মামলা নিষ্পতি, বৃক্ষরোপণসহ জেলার সামগ্রিক বিচার ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করেন।

তিনি বিবাহিত এবং এক পুত্র ও এক কন্যাসন্তানের জনক। তার স্ত্রী মনিকা খান বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের একজন সদস্য এবং বর্তমানে তিনি টাঙ্গাইল জেলার লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তার পদক প্রাপ্তিতে তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি এবং আইনমন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর - dainik shiksha শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি - dainik shiksha মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী - dainik shiksha আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই - dainik shiksha প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে - dainik shiksha জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ - dainik shiksha বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য - dainik shiksha এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা - dainik shiksha অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর - dainik shiksha ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন - dainik shiksha বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী - dainik shiksha একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0033731460571289