বিছানাপত্র নিয়ে রাবির প্রশাসন ভবনের সামনে শিক্ষার্থী

রাজশাহী প্রতিনিধি |

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলের ১৩৫ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র জাকির হোসেন। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তার সিটে আরেকজনকে তুলে দিয়ে তাকে রুম থেকে বের করে দেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোমিন ইসলাম ও তার অনুসারীরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জাকির গতকাল বুধবার হল প্রাধ্যক্ষের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে তাকে নিজের সিটে তুলে দেন প্রাধ্যক্ষ। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরেই তার সিটে আরেকজনকে তুলে দেন ছাত্রলীগ নেতা মোমিন।

এ ঘটনা হল প্রাধ্যক্ষকে জানান জাকির হোসেন। কিন্তু প্রাধ্যক্ষ পরীক্ষার ডিউটিতে থাকায় আসতে বিলম্ব হয়। এরই মধ্যে দুপুরের দিকে বিছানাপত্র নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন হল প্রাধ্যক্ষ একরামুল ইসলাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক। তারা ভুক্তভোগীকে নিজের সিটে তুলে দেওয়ার আশ্বাস দিলে তিনি অবস্থান ত্যাগ করেন। পরে হল প্রশাসন তাকে ১৩৫ নম্বর কক্ষের নিজ সিটে তুলে দেন।

শিক্ষার্থী জাকির হোসেন বলেন, গত ২২ জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে ছাত্রলীগের হল সেক্রেটারি মোমিন ও তার ছেলেরা এসে আমাকে ও প্রাধ্যক্ষ স্যারকে গালাগালি করেন এবং ২৯ জানুয়ারির পর কক্ষ ছেড়ে দিতে বলেন। কিন্তু আমি কক্ষ না ছাড়ায় গত মঙ্গলবার রাতে এসে আমার অনুপস্থিতিতে বিছানাপত্র ফেলে দিয়ে অন্য একজনকে তোলেন। আজকে প্রাধ্যক্ষ স্যার তুলে দিলে আবার তারা এসে নামিয়ে দেন। বাধ্য হয়ে আমি বিছানাপত্র নিয়ে প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছি। আমি ডিপার্টমেন্ট ফার্স্ট, সামনে আমার ফাইনাল পরীক্ষা। কিন্তু প্রতিদিন এ সমস্যা হওয়ায় আমি ঠিক মতো পড়াশোনা করতে পারছিলাম না। আজ হল প্রাধ্যক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসে সমাধন করে দিয়েছেন। এখন আমি আমার সিটেই আছি।

তবে অভিযোগের বিষয়য়ে ছাত্রলীগ নেতা মোমিন ইসলামকে একাধিকবার ফোন দিলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

হল প্রাধ্যক্ষ একরামুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আজ সকালে আমি ওই শিক্ষার্থীকে তার সিটে তুলে দিয়েছি। পরে তাকে নামিয়ে দেয় তখন আমি পরীক্ষার ডিউটিতে ছিলাম। আমি তাকে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলি। কিন্তু সে অপেক্ষা না করে বিছানাপত্র নিয়ে প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। পরে আমি এবং প্রক্টরিয়াল বডি সেখানে উপস্থিত হয়ে তাকে সেখান থেকে নিয়ে এসে তার সিটে তুলে দিয়েছি।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মঙ্গলবারের ঘটনার পর আমি আবাসিক শিক্ষকদের নিয়ে তাৎক্ষণিক একটা সভা করেছি। আমরা এ ঘটনা তদন্ত করবো। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর - dainik shiksha শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি - dainik shiksha মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী - dainik shiksha আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই - dainik shiksha প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে - dainik shiksha জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ - dainik shiksha বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য - dainik shiksha এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা - dainik shiksha অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর - dainik shiksha ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন - dainik shiksha বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী - dainik shiksha একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0026528835296631