বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তিতে দুর্নীতি

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ। চট্টগ্রামের এই বেসরকারি চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়টির নামের সঙ্গে ‘ট্রাস্ট বা আস্থা’ শব্দটি জুড়ে দেওয়া হলেও তাদের কাজকর্মে কোনো রকম ‘আস্থা বা বিশ্বাস’ পাচ্ছে না বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)। বিএমডিসি কলেজটির এমবিবিএস কোর্সের দুটি শিক্ষাবর্ষে ৬০ শিক্ষার্থীর ভর্তিতে নজিরবিহীন অনিয়ম-দুর্নীতির খোঁজ পেয়েছে। এর মধ্যে ৫১ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয় জালিয়াতির মাধ্যমে। অন্য ৯ শিক্ষার্থী কম নম্বর পেয়েও ভর্তির সুযোগ পেয়েছে (ভর্তিতে পাস নম্বরের চেয়ে কম)। কালের কণ্ঠের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

গত বৃহস্পতিবার বিএমডিসির রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত ১৮ পৃষ্ঠার একটি নথি বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। এর অনুলিপি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের ডিন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও রেজিস্ট্রারের কাছেও পাঠানো হয়। ‘জালিয়াতি ও অনিয়মের’ মাধ্যমে ৬০ শিক্ষার্থীর এই ভর্তি নিয়ে বেশ আলোড়ন উঠেছে চট্টগ্রামে। প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে শুরু হয়েছে তোলপাড়। কলেজটির গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আফসার উদ্দিন। কলেজটির ক্যাম্পাস চন্দনাইশ উপজেলায়।

এ প্রেক্ষাপটে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অধিভুক্ত ৯টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষদের আজ রবিবার বিকেলে এক জরুরি বৈঠকে ডেকেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের চারুকলা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে বলে নিশ্চিত করেছেন চবি চিকিৎসা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।

অনেকে বলছে, প্রয়োজনীয় পাস নম্বর না থাকার পরও এর আগে বিভিন্ন বেসরকারি মেডিকেল কলেজে অনিয়ম করে কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। এ রকম অভিযোগ ওঠায় পরবর্তী সময়ে কলেজগুলোকে জরিমানা করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু জাতীয় মেধা তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের নামের স্থলে অন্যজনের নাম-পরিচয় ও ছবি সংযুক্ত করাসহ এ রকম জোচ্চুরির ঘটনা এর আগে ঘটেনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষকসহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তারা জানান, বিএমডিসি যে 

বিষয়টি উদ্ঘাটন করেছে তা যদি সত্যি হয় তাহলে ‘জালিয়াতি’ করে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি হওয়া ওই শিক্ষার্থীরা পাস করার পর কিভাবে রোগীকে চিকিৎসাসেবা দেবেন! বিষয়টি কিভাবে ঘটল, এর সঙ্গে কারা কারা জড়িত—এসব বিষয় উঠে আসা খুবই জরুরি।

একাধিক সূত্র দাবি করেছে, ওই শিক্ষাবর্ষগুলোতে একেকজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে গড়ে প্রায় ১৫ লাখ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। সে হিসাবে ৬০ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৮ কোটি থেকে ৯ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে কলেজটি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার ডা. জেড এম বসুনিয়া বলেন, ‘তাদের (ওই কলেজ) কাছে কারণ জানতে চেয়েছি। তারা কিভাবে এসব শিক্ষার্থীকে ভর্তি করেছে? আদালতের কোনো নির্দেশনা আছে কি না জানি না। আগে তারা ব্যাখ্যা দিক। তারপর ব্যবস্থা কী নেওয়া হবে তা দেখবেন।’

৬০ শিক্ষার্থীর ভর্তিতে জালিয়াতি ও অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এস এম তারেক বলেন, ‘আমরা গত বৃহস্পতিবার বিএমডিসি থেকে একটি চিঠি পেয়েছি। এর মধ্যে ৯ জন শিক্ষার্থীর নিম্ন স্কোরের (পাসের কম নম্বর) ভর্তির কথা বলা হয়েছে। তবে আমরা বছর দুয়েক আগে নিম্ন স্কোরের ভর্তির কারণে এক কোটি টাকা জরিমানা দিয়েছিলাম।’

অন্য ৫১ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করার ব্যাপারে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ বলেন, ‘কিছু গরমিল আছে। আমরা ওই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চেয়েছি। যাচাই-বাছাই করে গরমিল পাওয়া গেলে তাদের ছাত্রত্ব বাতিল করা হবে।’ বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর বিএমডিসি থেকে পাঠানো ১৮ পৃষ্ঠার নথিতে ওই কলেজের এমবিবিএস কোর্সে ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ১২ জন এবং ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া ৩৯ শিক্ষার্থীর ভর্তির ব্যাপারে তথ্য জানতে চাওয়া হয়। তা না হলে ছাত্র রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার বিষয়টি সম্পন্ন করা যাবে না। ওই চিঠিতে ৬০ শিক্ষার্থীর ভর্তিতে কী অনিয়ম হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়। যে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তাঁরা হলেন ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে তৌহিদুল ইসলাম, সাফরিন আলম, মোহাম্মদ শায়ন সরোয়ার ভূঁ্ইয়া, তানজিলা সুলতানা, মোহাম্মদ জাহেদুল আলম, তামান্না ফারহা

লোহা, চৈতি চৌধুরী, আরাফাত আহমদ, মো. শাকিরুল ইসলাম সাজিব, সারফরাজ হাবিব, অমিত ধর, কানিজ ফাতেমা কেয়া এবং ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে সাইফুল ইসলাম আজিজ, তাইরিন সুলতানা, নাফিসা মাহজাবিন, নিপা চৌধুরী, মো. আতিকুর রহমান, মুসলিমা জান্নাত রিমা, মো. শাকিল চৌধুরী, দেবদ্যুতি ভট্টাচার্য, প্রজ্ঞা প্রিয়তা বড়ুয়া, নওশিন তাবাসসুম, মো. ইমরুল আলম, মুন্না চৌধুরী, সাব উদ্দিন আজাদ, সৌরভ দাশ, তানজিন জাহান, মো. আবু সালেহ, তিশা দত্ত, এইচ এম আহসান উদ্দিন চৌধুরী, মহিনুর বেগম, দেবশ্রী দত্ত অনি, সায়েদা সাদিয়া নিজামী, সারমিন আকতার রুপা, মো. নওশাদুল ইসলাম, মেহেরাজ আল আনিয়ান, শুভ দেবনাথ, নিশাত সুলতানা, জান্নাতুল নাঈম, নাদিয়া আফরিন, মো. হাসিবুর রহমান ভূইয়া, মারজান ইসলাম, মাইকেল বড়ুয়া, সুতিপ্ত নাথ প্রীতম, মো. জাবেদ হোসেন ভূইয়া, খন্দকার নুসরাত জাহান, মো. শরিফুল ইসলাম, রাজিয়া সুলতানা, ধ্রুব দে, শহীদ আরশিল আজিম ও রাহাত নিজাম খান। এই ৫১ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে নাম ও আনুষঙ্গিক তথ্য গরমিল থাকার বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।

বিএমডিসির ওই চিঠিতে বলা হয়, বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ থেকে গত ১৯ সেপ্টেম্বর দুই শিক্ষাবর্ষে (ওই দুই শিক্ষাবর্ষ) এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন ফরম নিরীক্ষা করে দেখা যায়, তৌহিদুল ইসলাম, পিতা- মো. জয়নাল আবেদীন, মাতা- হামিদা বেগম—এই ছাত্রের ভর্তি পরীক্ষার রোল নম্বর ১৫১৬৫৫, টেস্ট স্কোর ৩০ দশমিক ২৫, মেরিট স্কোর- ১২৬ দশমিক ৮৯ ও মেরিট পজিশন ৪৬৬০০। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাওয়া রেজাল্ট শিটে  রোল নম্বর ১৫১৬৫৫ এবং এই টেস্ট স্কোর, মেরিট স্কোর ও মেরিট পজিশনের ছাত্রের নাম মোহাম্মদ আলী হাসান। সাফরিন আলম, পিতা- শফিউল আলম, মাতা- পারভিন আক্তার—এই ছাত্রীর রোল নম্বর জাতীয় ভর্তি পরীক্ষায় রোল নম্বর ১৫১৭৪০, টেস্ট স্কোর ২৬ দশমিক ০০, মেরিট স্কোর ১২৪ দশমিক ৮ ও মেরিট পজিশন ৪৮৫৮৩। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাওয়া রেজাল্ট শিটে রোল নম্বর ১৫১৭৪০ এবং এই টেস্ট স্কোর, মেরিট স্কোর ও মেরিট পজিশনের ছাত্রীর নাম তাসনিম আয়েশা আলম অরিন।

২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে মো. সাইফুল ইসলাম আজিজ, পিতা- মো. খোরশেদ আলম, মাতা-পারভিন আক্তার। ওই ছাত্রের জাতীয় ভর্তি পরীক্ষার রোল নম্বর ১৫৩৮০২, টেস্ট স্কোর ৫৬, মেরিট স্কোর ১৫৬ ও মেরিট পজিশন ৩৪৪২৮। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাওয়া রেজাল্ট শিটে রোল নম্বর ১৫৩৮০২। এর কোনো তথ্য নেই। কিন্তু ওই টেস্ট স্কোর ও মেরিট পজিশনের ছাত্রের নাম অভি দাশ, যার জাতীয় ভর্তি পরীক্ষার রোল নম্বর ১৫৩৫৩৩।

নিপা চৌধুরী, পিতা- প্রদীপ কান্তি দে, মাতা- ইন্দ্রা চৌধুরী—এই ছাত্রীর জাতীয় ভর্তি পরীক্ষার রোল নম্বর ১৫২৫৮৭, টেস্ট স্কোর ৫০ দশমিক ৫০, মেরিট স্কোর ১৫০ দশমিক ৫০ ও মেরিট পজিশন ৪৮৫৩৮। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাওয়া রেজাল্ট শিটে রোল নম্বর ১৫২৫৮৭ এবং এই টেস্ট স্কোর, মেরিট স্কোর ও মেরিট পজিশনের ছাত্রীর নাম রুনা আক্তার, যার জাতীয় ভর্তি পরীক্ষার রোল নম্বর ১৫৩৩৯৪। এভাবে ৫১ ছাত্র-ছাত্রীর ভর্তিতে গরমিল ও জালিয়াতি পাওয়া গেছে।

এ ছাড়া ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে একই কলেজে সাদমান আশাব বিন ইসলাম, মো. আবু হায়দার, রুবাইয়া শারমিন, নুরজাহান ইয়াসমিন লিজা, শ্রবান্তী পাল, সায়মা আফরোজ, আফসানা নুরে জান্নাত, মুক্তা রানী বড়ুয়া ও কিশোর মাহমুদ হাসানুল বান্নাকে ভর্তি করা হয়। বিএমডিসি উল্লেখ করে, এই ৯ ছাত্র-ছাত্রী জাতীয় ভর্তি পরীক্ষার মেরিট পজিশন ১৪০-এর নিচে। ওই সেশনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভর্তি নীতিমালায় মেরিট পজিশন ১৪০-এর নিচে হলে কোনো ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির যোগ্যতা রাখে না। এ অবস্থায় ৯ ছাত্র-ছাত্রীকে ভর্তি বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

চিকিৎসাশাস্ত্রসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, সাধারণত প্রতিটি শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির পর প্রথম পেশাগত পরীক্ষা হয় দেড় বছর পর। সংশ্লিষ্ট কলেজ ভর্তির কার্যক্রম শেষ করে ছাত্রত্ব নিবন্ধনের জন্য বিএমডিসির কাছে আবেদন করতে হয়। বিএমডিসিতে আবেদনের সময় শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ভর্তির ব্যাপারে যাবতীয় তথ্য জমা দিতে হয়। বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন দিলে এরপর সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয় কাগজপত্র। পরে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রথম পর্বের পরীক্ষা নেবে, কিন্তু এই নিয়ম মানা হয়নি চট্টগ্রামের বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজে।

২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের আগামী নভেম্বরে এমবিবিএস ফাইনাল পরীক্ষা দেওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু যেখানে দেড় বছরের মধ্যে ছাত্রত্ব নিবন্ধন সংগ্রহের কথা ছিল, সেখানে গত পাঁচ বছরেও তা নেওয়া হয়নি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০০২-০৩ শিক্ষাবর্ষে ওই কলেজে এমবিবিএস কোর্স শুরু হয় ৫০ আসন দিয়ে। এরপর বাড়তে বাড়তে দুই বছর আগে ১২৫ আসন থাকলেও এর আগে কয়েকটি ব্যাচে অনিয়মের কারণে মন্ত্রণালয় আসন কমিয়ে ৯০-এ রেখেছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
কাল থেকে শিক্ষা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলবে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় - dainik shiksha কাল থেকে শিক্ষা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলবে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বাড়ানোর নির্দেশ রাষ্ট্রপতির - dainik shiksha বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বাড়ানোর নির্দেশ রাষ্ট্রপতির ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ - dainik shiksha ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ - dainik shiksha সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ - dainik shiksha নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিনিয়র আইনজীবীরা বিচার বিভাগের স্বার্থে কথা বলবেন, আশা প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha সিনিয়র আইনজীবীরা বিচার বিভাগের স্বার্থে কথা বলবেন, আশা প্রধান বিচারপতির দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0025780200958252