দেশে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস অথবা স্টাডি সেন্টার স্থাপন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক আ্যাখা দিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি (এপিইউবি)। সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
সভাপতি বলেন, সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে গড়হধংয ঈড়ষষবমব (Monash College (Australia) Study Center, Bangladesh স্থাপন ও পরিচালনার সাময়িক অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এভাবে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস ও স্টাডি সেন্টার পরিচালনার অনুমোদন দেওয়ায় দেশের ক্রমবিকাশমান উচ্চশিক্ষা খাতে ব্যাপক উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) এপিইউবি একটি চিঠি পাঠিয়েছিল। এতে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস বা স্টাডি সেন্টার স্থাপন ও পরিচালনার অনুমোদন প্রসঙ্গে একক নীতি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিধি প্রণয়নের অনুরোধ জানানো হয়েছিল। এ চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এপিইউবিকে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস বা স্টাডি সেন্টার পরিচালনা বিধিমালা-২০১৪ পুনর্মূল্যায়ন তথা সংশোধন ছাড়া বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের লাভজনক শাখা ক্যাম্পাস বা স্টাডি সেন্টার স্থাপন ও পরিচালনার অনুমোদন দেওয়া হবে না বলে আশ্বস্ত করা হয়েছিল।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তখন আশ্বস্ত করা হলেও ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি আকস্মিকভাবে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস বা স্টাডি সেন্টার পরিচালনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০-এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করছে এপিইউবি। সভাপতির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ অনুযায়ী দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ট্রাস্ট আইন ১৮৮২-এর অধীন অলাভজনক উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত হয়। কিন্তু কোম্পানি আইন ১৯৯৪-এর আওতায় লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানের শাখা ক্যাম্পাস বা স্টাডি সেন্টারের অনুমোদন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০-এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
বিবৃতিতে বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০-এর ৪৪ (৭) ধারাতে বলা হয়েছে, কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ তহবিলের অর্থ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় ব্যয় ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ব্যয় করা যাবে না; অথচ বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস বা স্টাডি সেন্টার প্রজ্ঞাপন ২০১৪-এর বিধি ৭ (ঝ) অনুযায়ী উদ্বৃত্ত অর্থসম্পদ উদ্যোক্তা, স্থানীয় প্রতিনিধি ও বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আনুপাতিক হারে বণ্টন হবে। বিবৃতিতে এপিইউবি জানায়, উচ্চশিক্ষা খাতে এ জাতীয় দ্বৈতনীতি কার্যকর হলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উদ্যোক্তারা নিরুৎসাহিত হয়ে পড়বেন।