উপজেলার ধারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে স্থায়ীভাবে নির্মাণ করা হয়েছে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় এবং ধারা বাজার ইজারাদার কার্যালয়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের ঠিক উত্তরপাশে নির্মাণ করা হয়েছে আওয়ামী লীগের ৯নং ধারা ইউনিয়ন কার্যালয় এবং দক্ষিণপাশে নির্মাণ করা হয়েছে ধারা বাজার ইজারাদারদের কার্যালয়।
এছাড়াও বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ দক্ষিণপাশে বসেছে প্রায় ৫০টির অধিক দোকানপাট। শ্রেণিকক্ষ ঘেঁষে দোকানপাট থাকার কারণে ক্রেতা বিক্রেতার কথোপকথনে লেখাপড়া যেমন বিঘ্নিত হচ্ছে তেমনি পথচারীদের পোহাতে হচ্ছে বিড়ম্বনা। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম ইরান জানান, বিদ্যালয়ের চারপাশের স্থাপনার মধ্যে বিদ্যালয়ের জায়গা রয়েছে।
আমি সভাপতি থাকাকালীন সময়ে এগুলো উচ্ছেদের চেষ্টা করে এলাকার কিছু অসাধু রাজনৈতিক নেতা এবং ব্যবসায়ীদের জন্য পুরোপুরি সফল হতে পারিনি। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম জানান আমার পূর্বের প্রধান শিক্ষক এবং এসএমসি কিভাবে বিদ্যালয়ের জায়গায় স্থায়ীভাবে এসব স্থাপনা নির্মাণে অনুমতি দিয়েছে তা আমার বোধগম্য নয়।
বিদ্যালয়ের নামে ৩৯ শতাংশ জায়গা থাকলেও পুরোটা আমাদের দখলে নেই। বারবার এসব জায়গা উদ্ধারের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান তোফায়েল আহাম্মদ বিপ্লব জানান ইউনিয়ন আ.লীগ অফিসটি দীর্ঘদিন যাবত এখানে অবস্থিত। এটি বিদ্যালয়ের সম্পত্তি কিনা এ ব্যাপারে আমি জানি না।
আমিও চাই বিদ্যালয়ের চারদিকের জায়গা দখলমুক্ত হোক। এগুলো উচ্ছেদের জন্য আমি চেয়ারম্যান হিসেবে উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হয়েছি। উপজেলা শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার সূত্রধর বলেন, বিদ্যালয়ের জায়গা দখলের বিষয়ে আমি অবগত নই। আমি আগামী শিক্ষা কমিটির সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করব।