বিদ্যালয়ের পথে হাঁটু সমান কাদা, দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা

বরিশাল প্রতিনিধি |

'দুই যুগ আগে কহান ইট দেছেলো এ রাস্তায়, হেয়া আবার ছয় মাসের মধ্যে কাদায় নষ্ট হয়ে রাস্তায় নাইম্মা গেছে। হেই থেকেই তো মোরা এ কাঁদার রাস্তার হাঁটি। মোরা তো এহন মরার পথে। আমাগো জীবনতো যায় যায়, ইটের রাস্তা দেইখা মনে হয় মরতে পারমু না।' কথাগুলো বলছিলেন বরিশালের বেতাগী উপজেলার দক্ষিণ হোসনাবাদ গ্রামের ৮২ বছর বয়সের বৃদ্ধ আলতাফ হোসেন।

জানা গেছে, হোসনাবাদের রাসেল স্কয়ার থেকে দক্ষিণ হোসনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ২ কিলোমিটার পর্যন্ত রান্তা কাঁচা রয়েছে। ১৯৯৭ সালে ওই রাস্তায় মাত্র ৪ শ মিটার পর্যন্ত সোলিং করা হয়েছিল। রাস্তা দিয়ে নিয়মিত যাতায়াতকারীরা জানান, সোলিং করার কয়েক মাসের মধ্যে ইটগুলো নেমে যায়। বর্তমানে কয়েক বছর ধরে বর্ষার সময় রাস্তায় হাঁটু সমান কাদা হয়। বৃষ্টির পানি জমে ফসলের মাঠে পরিণত হয়। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়ে শিশু শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা বর্ষার সময় প্রায়ই বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকে।

দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র আরেফিন ও পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী সাথী আক্তার জানায়, বর্ষার সময় ওই রাস্তা দিয়ে একদিন বিদ্যালয় ক্লাস করতে গেলে দু-তিন ধরে যেতে পারি না কারণ আমাদের পোশাকগুলো কাদায় নষ্ট হয়ে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা মোশারেফ হোসেন বলেন, রাস্তাটি মেরামত করা খুবই জরুরি। দক্ষিণ হোসনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নূরুল ইসলাম বলেন, সড়কটি মেরামত করা দরকার। বর্ষার সময় বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম থাকে। রাস্তা খারাপ থাকায় অনেক অভিভাবক বিদ্যালয় ভর্তি করাতে চায় না। বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বর্ষার সময় রাস্তায় প্রচুর পরিমাণ কাদা হয়। ফলে স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।
  
হোসনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান বলেন, আশা করি সড়কটি যেকোনো প্রকল্পে অর্ন্তভুক্ত করে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দিয়ে নির্মাণ কাজ শুরু করব। বেতাগী উপজেলা সিনিয়র সহকারী প্রকোশলী মো. হোসেন আলী মীর বলেন, এর মধ্যে সড়কটি সম্পর্কে আমরা অবগত হয়েছি, অতি শিগগিরই এ সড়কের একটা ব্যবস্থা করা হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মানদণ্ড কী? - dainik shiksha শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মানদণ্ড কী? অবসর-কল্যাণে শিক্ষার্থীদের দেয়া টাকা জমার কড়া তাগিদ - dainik shiksha অবসর-কল্যাণে শিক্ষার্থীদের দেয়া টাকা জমার কড়া তাগিদ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে সুপ্রিম কোর্টের ফতোয়ার রায় পাঠ্যপুস্তকে নিতে হবে - dainik shiksha সুপ্রিম কোর্টের ফতোয়ার রায় পাঠ্যপুস্তকে নিতে হবে সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি - dainik shiksha সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি - dainik shiksha বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0025570392608643