বিদ্যালয় থেকে জিয়ার নাম মুছে দেওয়ায় ফখরুলের নিন্দা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

রাজধানীর মোগলটুলী এলাকায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান তিনি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গত অক্টোবর মাসে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নামে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টির নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিলে তাৎক্ষণিকভাবে বিএনপি এবং এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল। আমরা এ ধরনের প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপ থেকে সরে আসার জন্য সিটি কর্পোরেশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সিটি কর্পোরেশন কারো কোনো দাবি, আহ্বানের প্রতি কর্ণপাত না করে ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়’ নাম পরিবর্তন করে ‘পুরান মোগলটুলী উচ্চ বিদ্যালয়’ নামকরণ করেছে।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষণাসহ মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ গৌরবোজ্জ্বল ও সাহসী ভূমিকা এবং পরবর্তীতে আধুনিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় যুগান্তকারী নেতৃত্ব ও অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৬ সালে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন নির্বাচিত মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা এবং একই বছর ২৫ মার্চ উদ্বোধন করেছিলেন। কিন্তু বর্তমান সরকারের ইতিহাস বিকৃতি ও প্রতিহিংসার রাজনীতির বশতবর্তী হয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন শহীদ জিয়ার নামে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের ন্যাক্কারজনক সিদ্ধান্ত নিয়ে বাস্তবায়ন করছে। নগরবাসীর নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না হওয়ায় ঢাকা সিটির মেয়র ও কাউন্সিলররা নগরবাসীর উন্নয়নে ও তাদের উন্নত সেবা প্রদান না করে নাম পরিবর্তনের ন্যাক্কারজনক দলীয় করণে ব্যাস্ত রয়েছেন। নগরবাসীর নির্বাচিত প্রতিনিধি হলে তারা এ ধরনের হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারতেন না।
 
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক শহীদ জিয়ার নামে প্রতিষ্ঠিত উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের তীব্র প্রতিবাদ, নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়ে বলেন, বিগত ১২ বছর শত চেষ্টা করে ফ্যাসিবাদী শাসকগোষ্ঠী জনগনের হৃদয় থেকে শহীদ জিয়ার নাম মুছে ফেলতে পারে নাই, কখনও পারবে না।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
কাল থেকে শিক্ষা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলবে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় - dainik shiksha কাল থেকে শিক্ষা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলবে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বাড়ানোর নির্দেশ রাষ্ট্রপতির - dainik shiksha বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বাড়ানোর নির্দেশ রাষ্ট্রপতির ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ - dainik shiksha ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ - dainik shiksha সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ - dainik shiksha নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিনিয়র আইনজীবীরা বিচার বিভাগের স্বার্থে কথা বলবেন, আশা প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha সিনিয়র আইনজীবীরা বিচার বিভাগের স্বার্থে কথা বলবেন, আশা প্রধান বিচারপতির দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.002903938293457