গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দামের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীতে ডিপিডিসি’র আওতাভুক্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী ৫-৬ বছরে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার বড় অংশ আন্ডারগ্রাউন্ড হবে। তিনি জানান, জ্বালানি সরবরাহ বাড়াতে ব্রুনাই, কাতার ও সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
এর আগে গত ২১ নভেম্বর এক অনুষ্ঠানে নসরুল হামিদ বলেন, জেনারেশন পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত এখনও নেয়া হয়নি।
নসরুল হামিদ আরও বলেন, পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রভাব গ্রাহক পর্যায়ে কতটা পড়বে তা যাচাই-বাছাই করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) সিদ্ধান্ত নেবে।
এছাড়া ওইদিন বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণাও দেয় বিইআরসি। সংস্থাটি জানায়, বিদ্যুতের দাম পাইকারি পর্যায়ে ১৯.৯২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের গড় দাম ছিল ৫ টাকা ১৭ পয়সা, যা বাড়িয়ে ৬ টাকা ২০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। ডিসেম্বর থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে। তবে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের আগের দামই বহাল থাকবে বলে জানায় বিইআরসি।
এর আগে পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ৬৬ শতাংশ বাড়াতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) আবেদনের ওপর গত ১৮ মে গণশুনানি হয়। তাতে বিভিন্ন পক্ষের যুক্তিতর্ক পর্যালোচনা শেষে ১৩ অক্টোবর কমিশন বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে আগের পর্যায়েই বহাল রাখে।