‘সরকারি মাল দরিয়ামে ঢাল’ এ প্রবাদ অনেকটা বিনামূল্যের বইয়ের ক্ষেত্রে দৃশ্যমান। এই বই বিতরণে নেই তেমন জবাবদিহিতা বা হিসাব-নিকাশ। কেবল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও কতিপয় হাইস্কুলে বিতরণে স্বচ্ছতা দেখা গেছে। কিছু উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষার্থী স্বল্পতার কারণে এম.পি ও টিকিয়ে রাখার স্বার্থে বেশি বেশি বই দেখিয়ে বই সংগ্রহ করে থাকেন। বইগুলো কিন্ডারগার্টেন উচ্চ বিদ্যালয়ে সরকারি অনুমতিবিহীন উচ্চ বিদ্যালয়ে অর্থের বিনিময়ে সরবরাহ করে থাকেন।
যেহেতু উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সৃজনশীল ও বর্তমান শিক্ষাক্রমের ওপর ট্রেনিং প্রাপ্তির সুযোগ কম। সে কারণে নোট গাইড তাদের শিক্ষকের ভূমিকা গ্রহণে সহায়তা করে থাকেন। তাদের ৮ম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন, পরীক্ষা এবং এস.এস,সি রেজিস্ট্রেশন স্বল্প শিক্ষার্থী বিশিষ্ট বিদ্যালয় থেকে দেওয়া হয়। এ বছরও দেশের আনাচে-কানাচে অলি-গলিতে বিশেষ করে ঢাকা মহানগরী মতিঝিল, ডেমরায় ব্যাপক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫০ গজের মধ্যে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বা কে.জি স্কুল স্থাপন করে চলছে। তারা বিভিন্ন স্কুল থেকে অবৈধভাবে বই সংগ্রহ করে বিদ্যালয় ভর্তি চালানোর পাঁয়তারা করছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষতিকর ও অনুমতিবিহীন বিদ্যালয়ের অবৈধভাবে বই সংগ্রহ বিষয়ে কঠোর তদারকি প্রয়োজন। এতে বন্ধ হবে শিশু শিক্ষায় অমনোবিজ্ঞানসম্মত ক্ষতিকর প্রভাব । বন্ধ হবে অনুমতিবিহীন বিদ্যালয় স্থাপনের কার্যক্রম। বন্ধ হবে অন্য উচ্চ বিদ্যালয়ের নামে পরীক্ষা দেওয়ার দুর্নীতি। পাশাপাশি শিক্ষার্থী পাবে প্রশিক্ষণবিহীন শিক্ষকের পাঠদান থেকে মুক্তি বিনামূল্যের বইয়ের দুর্নীতিসহ অপচয় রোধের বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষামন্ত্রী ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
লেখক : মো. সিদ্দিকুর রহমান, সভাপতি, বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ ও সম্পাদকীয় উপদেষ্টা, দৈনিক শিক্ষাডটকম।