ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বিভিন্ন স্কুলে এ বছর ৮ম ও ৯ম শ্রেণীতে নাম রেজিস্ট্রেশনের নামে চলছে গলাকাটা বাণিজ্য। ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে ৫শ টাকা এবং ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে সাড়ে ৫শ টাকা। কিন্তু শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফি ৮ম কেুীর জন্য সর্বসাকুল্যে ১০০ ও ৯ম শ্রেণীর জন্য ১৭৫ টাকা নেওয়া কথা। কিন্তু স্কুলের বিভিন্ন ফি দেখিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে এবং নেওয়া হচ্ছে মাসিক বেতনও। ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বিভিন্ন স্কুলে এ বছর ৮ম ও ৯ম শ্রেণীতে নাম রেজিস্ট্রেশনের নামে চলছে গলাকাটা বাণিজ্য। ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে ৫শ টাকা এবং ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে সাড়ে ৫শ টাকা। কিন্তু শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফি ৮ম কেুীর জন্য সর্বসাকুল্যে ১০০ ও ৯ম শ্রেণীর জন্য ১৭৫ টাকা নেওয়া কথা। কিন্তু স্কুলের বিভিন্ন ফি দেখিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে এবং নেওয়া হচ্ছে মাসিক বেতনও।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রুলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শ্রীরামপুর গ্রামের নাজমুল হোসেনের মেয়ে সাদিয়া খাতুন, সাইফুলের মেয়ে প্রেমা খাতুন ও মাসুদ রানার ছেলে রাসেল সহ তরা ঐ বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণীতে পড়ে। তাদের কাছ থেকে সাড়ে ৫শ টাকা করে আদায় করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আক্তারুজ্জামান উক্ত টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা এই নিয়মেই টাকা নিয়ে আসছি। অতিরিক্ত টাকা আদায়ে অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বাঁশবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মালেক জানায়, কোন নিয়ম-নীতি না মেইেন ঐ স্কুলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে তাকে অনেক অভিভাবক জানিয়েছে।
খালিশপুর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোশারেফ হোসেন জানায়, তারা ৮ম শ্রেণীর জন্য ৫শ টাকা এবং ৯ম শ্রেণীর জন্য সাড়ে ৫শ টাকা হারে আদায় করছে। এছাড়া মাসিক বেতন ৮০ ও ৯০ টাকা হারে নিয়ে থাকেন। সরকারি নিয়মে বেতন নেওয়ার কথা না থাকলেও তারা প্রতি মাসে আদায় করছে। ফতেপুর শামছুদ্দিন সরদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রাজ্জাক জানান, তারা ৮ম শ্রেণীতে ১শ ৭৫ টাকা এবং ৯ম শ্রেণীতে সাড়ে ৩শ টাকা আদায় করছে এবং বেতন হিসেবে ৪০ ও ৫০ হারে নিয়ে থাকে। কিন্তু অন্য একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, আনুসঙ্গিক খরচ দেখিয়ে তারা ৮ম সাড়ে ৩শ এবং ৯ম ৫শ টাকা আদায় করছে। খোজ নিয়ে দেখা গেছে, মহেশপুরে প্রায়ই স্কুলে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হচ্ছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমজাদ হোসেন বলেন, অতিরিক্ত কোন টাকা নেওয়া যাবে না, যদি কোন স্কুল নিয়ে থাকে প্রমান পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যশোর শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক তবিবর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বোর্ডের ওয়েব সাইডে নিধারিত ফি নির্ধারণ করা আছে তার বাহিরে কেউ নিতে পারবে না। যদি এর বাইরে কেউ নিয়ে থাকে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয় সচেতন মহল শিক্ষা মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।