বিরোধের জেরে ফুটপাতে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

ভবন মালিক ও স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরোধের জেরে ফুটপাতে বসে ক্লাস করছে রাজধানীর উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের ইনডিপেন্ডেন্ট স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

স্কুল উচ্ছেদের লক্ষ্যে সম্প্রতি ভবনটির মালিক পুলিশের সহযোগিতায় ভাঙচুর করে তালা ঝুলিয়ে দেয় স্কুলটিতে। এরপর থেকে রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে এভাবেই ক্লাস করতে হচ্ছে তাদের।
অভিভাবকদের দাবি, সামনে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা। এমতাবস্থায় অন্তত চলতি শিক্ষা বছর পর্যন্ত তাদের ভবনটি ব্যবহার করতে দেয়া হোক। তা না হলে নষ্ট হয়ে যাবে শিক্ষার্থীদের একটি শিক্ষা বছর। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি ২০১৮ সাল পর্যন্ত ভবন মালিকের সঙ্গে তাদের চুক্তি আছে।

জানা যায়, শুক্রবার মধ্য রাতে ইনডিপেন্ডেন্ট স্কুলের কথিত বাড়ির মালিক সাহাবুদ্দিন উত্তরা-পশ্চিম থানার ওসির সহযোগিতায় এবং ১৪ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতির সেক্রেটারি শাহ্ আলমের নেতৃত্বে বেশ কিছু বখাটে স্কুলটিতে হামলা চালায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাঝ রাতে স্কুলের নিরাপত্তা প্রহরীকে হাত-পা বেঁধে স্কুলের ভেতর ভাঙচুর করে। এ সময় স্কুলের মূল গেটসহ সব সাইন বোর্ড ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে কেচি গেটের তালা ভেঙে অধ্যক্ষ, শিক্ষক রুম, অফিস রুমসহ স্কুলের ১০-১২টি ক্লাস রুমের সব চেয়ার টেবিল, ১৫টি কম্পিউটার, আলমারি, বই-পুস্তক ও অন্যান্য কোর্স মেটারিয়াল ধ্বংস করে।

অভিভাবকরা জানান, এ ঘটনায় হুমকির মুখে পড়েছে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা। দ্রুত এর সমাধান না হলে একটি বছর নষ্ট হতে পারে শিক্ষার্থীদের। তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আগামী শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত ভবনটি ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
দেশের প্রথম ন্যাশনাল কারিকুলামে চালিত ইংলিশ ভার্সন স্কুলটি ২০১৩ সাল থেকে ৪ বছর অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

ইনডিপেন্ডেন্ট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ নাজমা আরিফ জানান, ঘটনার পর উত্তরা-পশ্চিম থানায় গেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনার বিবরণ শুনে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিলেও এক সপ্তায়ও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। হামলার ঘটনাটি জেনেও কোনো অভিযোগ বা এজাহার হিসেবে না নিয়ে থানায় শুধু সাধারণ ডায়েরি হিসেবে নিয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেছেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি ১২শ’ শিক্ষার্থীর আতঙ্কে দিন কাটছে - dainik shiksha কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি ১২শ’ শিক্ষার্থীর আতঙ্কে দিন কাটছে বিলেত সফরে শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha বিলেত সফরে শিক্ষামন্ত্রী ডলার সংকটে কঠিন হচ্ছে বিদেশে উচ্চশিক্ষা - dainik shiksha ডলার সংকটে কঠিন হচ্ছে বিদেশে উচ্চশিক্ষা সুপাড়ি চুরির সন্দেহে দুই ছাত্রকে নির্যা*তন - dainik shiksha সুপাড়ি চুরির সন্দেহে দুই ছাত্রকে নির্যা*তন ডক্টরেট ডিগ্রি পেলো বিড়াল - dainik shiksha ডক্টরেট ডিগ্রি পেলো বিড়াল নামী স্কুলগুলোর ফলে পিছিয়ে পড়ার নেপথ্যে - dainik shiksha নামী স্কুলগুলোর ফলে পিছিয়ে পড়ার নেপথ্যে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0032830238342285